এবার পশ্চিম তীরের মসজিদে ইসরায়েলি হামলা

ছবি সংগৃহিত
টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জাও।
টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। নির্বিচারে চালিয়ে যাচ্ছে গণহত্যা। তাদের এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জাও। এর মধ্যেই এবার ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি মসজিদেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মসজিদের নিচে কম্পাউন্ডে এ হামলা চালায় ইসরায়েল। প্রাথমিকভাবে সেখানে একজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। রোববার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হামলায় কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল-আনসার মসজিদে হামলায় হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের বেশ কয়েকজন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তারা হামলার পরিকল্পনা করার জন্য কমান্ড সেন্টার হিসেবে ওই ভবনটিকে ব্যবহার করে আসছিল।
বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য মসজিদটিকে কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলের সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, আজকের হামলায় নিহত ব্যক্তিরা শিগগির আরেকটি হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ ছাড়া তারা সম্প্রতি হওয়া বেশ কয়েকটি হামলার সঙ্গে জড়িত।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হামলায় মসজিদের বাইরের অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা ছোটাছুটি করছেন।
জেনিনে রেড ক্রিসেন্টের পরিচালক মাহমুদ আল-সাদি বলেছেন, হামলায় একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে। যদিও এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা বলেছিলেন, এ হামলায় দুজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সাম্প্রতিক দিনগুলোতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে এটি ইসরায়েলের দ্বিতীয় বিমান হামলা। অবশ্য গাজার মসজিদগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা খুবই সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে এবং সর্বশেষ দুদিন আগে ইসরায়েলের হামলায় ধসে পড়েছে গাজার একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক গত শুক্রবার জানায়, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় ধসে পড়েছে গাজা উপত্যকার ঐতিহাসিক আল-ওমারি মসজিদ। গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত মসজিদটি ধ্বংস হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে সেখানকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েল যদিও দাবি করছে তারা হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু আদতে হামাসের যোদ্ধাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেখানকার বেসামরিক মানুষ যা একদম গণহত্যাই বলছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। তাদের এ নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি।
