অনতিবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি চায় ইউনিসেফ
অনবরত বোমাবর্ষণ, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন, লাখ লাখ শরণার্থীর অনিশ্চিত জীবন-এমন মানবিক বিপর্যয়ে থাকা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) এক লিখিত বিবৃতিতে ইউনিসেফের প্রধান নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল বলেন, গাজা উপত্যকায় এই পরিস্থিতিতে কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। অনেক বেসামরিক নাগরিক হাসপাতাল ও স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেক শরণার্থী এবং আশ্রয়স্থল বোমা হামলায় ধ্বংসও হয়ে গেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গাজায় এখন প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অনেক বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে শিশুরা।নিরবিচ্ছিন্ন এই হামলা থেকে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭ হাজার ৬৯৬ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১৩০০ ছুঁয়েছে । আহত হয়েছে অন্তত ৩ হাজার ৪০০ জন।
এর আগে গাজা উপত্যকাজুড়ে ইতিমধ্যেই মানবিক বিপর্যয় শুরুর আভাস মিলছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওচা)।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে শত শত হামাস যোদ্ধা। পাল্টা হামলায় পূর্ণ উদ্যমে যুদ্ধের ময়দানে নামে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। ৭ থেকে ১৩ অক্টোবর, অর্থাৎ হামলার প্রথম ৬ দিন গাজা উপত্যকায় অন্তত ৬ হাজার বোমা ফেলেছে আইডিএফের বিমানবাহিনী। ব্যাপক এই বোমা হামলায় হামাসের অন্তত ২০০টি ঘাঁটি ও স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।