ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে নিহত ১০, বাংলাদেশিসহ জীবিত উদ্ধার ৫১
ছবি: সংগৃহীত
ভূমধ্যসাগরে ইতালি যাওয়ার পথে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ১১ জন অভিবাসী নিহত হয়েছেন। উদ্ধার করা হয়েছে আরও অন্তত ৫১ জনকে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। এ ছাড়া এ দুর্ঘটনায় আরও ৬৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ইতালিয়ান কোস্ট গার্ড, জাতিসংঘের সংস্থা ও জার্মান একটি দাতব্য সংস্থার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
জার্মান দাতব্য সংস্থা রেসকিউশিপ জানিয়েছে, তারা ডুবে যাওয়ার হাত থেকে অন্তত ৫১ জনকে উদ্ধার করেছে। নাদির নামে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ পরিচালনাকারী গোষ্ঠী জানিয়েছে, কাঠের তৈরি একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার সময় এই লোকদের উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দুজন অজ্ঞান ছিল। এ ছাড়া, নৌকাটির নিচের ডেকে আবদ্ধ অবস্থায় আরও ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে তারা।
রেসকিউশিপ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতদের ইতালির কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে গতকাল সোমবার সকালে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, জার্মান দাতব্য সংস্থা যাদের উদ্ধার করেছে তাঁরা সিরিয়া, মিসর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশি নাগরিক।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো জানিয়েছে, অপর নৌকাডুবিটি ঘটেছে ইতালির ক্যালিব্রিয়া অঞ্চলের সমুদ্রসীমায়। নৌকাটি আট দিন আগে তুরস্কের উপকূল থেকে রওনা হয়েছিল। একপর্যায়ে নৌকাটিতে আগুন ধরে গিয়ে তা উল্টে যায়। এই নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৬৪ জন নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১১ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে ইতালির রোসেল্লা শহরে নেওয়া হয়েছে।
গত মার্চে প্রকাশিত আইওএমের মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রজেক্টের প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর আফ্রিকা থেকে দক্ষিণ ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় গত এক দশকে ভূমধ্যসাগরে ২৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে বেশির ভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে লিবিয়ার উপকূলে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আইওএম তিউনিসিয়ার উপকূলেও নৌকাডুবির সংখ্যার ব্যাপক বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে। ২০২৩ সালে তিউনিসিয়ার উপকূলে কমপক্ষে ৭২৯ জন মারা গেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪৬২ জন বেশি।