সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

চীনে ইসলামি ধাঁচের শেষ মসজিদটিরও গম্বুজ উচ্ছেদ

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামিক আবহের বৈশিষ্ট্য ধরে রাখা চীনের সর্বশেষ প্রধান মসজিদটি তার গম্বুজ হারিয়েছে। আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে এর মিনারগুলোতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে দেশটির মুসলমানদের উপাসনালয়গুলোকে চাইনিজ স্টাইলে করার জন্য একটি সরকারি প্রচারণা সমাপ্ত হলো। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের ছোট্ট শহরের সবচেয়ে বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ মসজিদ শাদিয়ানের গ্র্যান্ড মসজিদ।

গত বছর পর্যন্ত ২১ হাজার বর্গমিটারের মসজিদ মভনটির মাথায় টাইলসের সবুজ গম্বুজ ছিল। একটি অর্ধচন্দ্র, চারটি ছোট গম্বুজ ও উঁচু মিনারের সমন্বয়ে সজ্জিত ছিল এটি। ২০২২ সালের স্যাটেলাইট চিত্রেও দেখা যায়, মসজিদের প্রবেশপথটি উজ্জ্বল কালো টাইলস দিয়ে তৈরি একটি বড় অর্ধচন্দ্র এবং তারা দিয়ে সজ্জিত।

অথচ এ বছরের স্যাটেলাইট চিত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে দেখা যায়, মসজিদের গম্বুজটি সরানো হয়েছে এবং হান চীনা স্টাইলের প্যাগোডার ছাদ দিয়ে তা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মিনারগুলো ছোট করে প্যাগোডা টাওয়ারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। কেবল অর্ধচন্দ্র এবং তারা টাইলসের একটি ক্ষীণ চিহ্ন দৃশ্যমান রয়েছে, যা একসময় মসজিদের সামনের ছাদকে চিহ্নিত করেছিল।

শাদিয়ান থেকে ১০০ মাইলের কম দূরত্বে অবস্থিত ইউনানের আরেক ঐতিহাসিক মসজিদ নাজিয়াং-এও সম্প্রতি সংস্কারের মাধ্যমে ইসলামিক বৈশিষ্ট্যগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

২০১৮ সালে চীন সরকার 'ইসলামের সিনিফিকেশন' নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করে। পরিকল্পনার একটি অংশ ছিল 'বিদেশি স্থাপত্যশৈলী' প্রতিরোধ করা এবং ইসলামী স্থাপত্যগুলো চীনা বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ করা। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ফাঁস হওয়া একটি মেমোতে দেখা গেছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে 'আরও ভেঙে ফেলার এবং কম নির্মাণের নীতি মেনে চলার' নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ রুসলান ইউসুপভ বলেন, এই বড় দুটি মসজিদ চীনা 'ইসলামের সিনিফিকেশন' অভিযানের সাফল্যকে নির্দেশ করে। গ্রামে থাকা আরব রীতির ছোট ছোট মসজিদ অবশিষ্ট থাকলেও স্থানীয় সম্প্রদায়ের পক্ষে সিনিকাইজেশনের বিরোধিতা করা কঠিন হবে।

চীনের প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাসের শিক্ষক ও ইতিহাসবিদ হান্নাহ থেকার বলেন, মসজিদ সিনিকাজেশন অভিযান 'প্রদেশ বাই প্রদেশ' এগিয়ে গেছে। বেইজিংয়ের অন্যতম দূরবর্তী প্রদেশ ইউনানকে সর্বশেষ সিনিকাজেশন অভিযান চালানো হয়েছে।

নিউইয়র্কভিত্তিক চীনা হুই কর্মী মা জু বলেন, চীনা সরকারের এই সংস্কার 'ধর্ম ও জাতিসত্তা ধ্বংস করার একটি স্পষ্ট বার্তা'।

মিং রাজবংশের সময় একটি বিদ্রোহে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় শাদিয়ানের গ্র্যান্ড মসজিদটি ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে পিপলস লিবারেশন আর্মি এই অঞ্চলে হুই মুসলমানদের বিদ্রোহ দমন করে। সে সময় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে সরকারি সহায়তায় গ্র্যান্ড মসজিদটি পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করা হয়।

সৌদি আরবের মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববীর মতো করে শাদিয়ানের গ্র্যান্ড মসজিদটির নকশা করে তৈরি করা হয়েছিল। এটিতে তিনটি প্রার্থনা কক্ষ এবং ১০ হাজার মুসল্লির ধারণক্ষমতা রয়েছে।

হুই একটি চীনা মুসলিম জাতিগত সংখ্যালঘু, যাদের বেশিরভাগই পশ্চিম চীনে বাস করে। ২০২০ সালের আদমশুমারি অনুসারে ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি হুই মানুষ আছেন, যা উইঘুরদের সমান জনগোষ্ঠী।

মসজিদগুলোর পুনঃনির্মাণের বিরোধিতাকারী একজন হুই মুসলিম বলেন, শাদিয়ান মসজিদ শুধু সাদিয়ান নয়, সব মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা একটা বড় ক্ষতি।

চীন ছেড়ে চলে যাওয়া এক মুসলিম ব্যক্তি নিজের নিরাপত্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, আমরা কেবল আমাদের শেষ মর্যাদাটুকু রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কারণ, শাদিয়ান ও নাজিয়াইং ছাড়া দেশের প্রতিটি মসজিদকে নতুন করে সাজানো হয়েছে।

স্থাপত্যশৈলীর পাশাপাশি গ্র্যান্ড মসজিদে আনা আরেকটি পরিবর্তন হলো, ভবনের সামনের অংশে সোনার প্রলেপযুক্ত আরবি লেখার নিচে নতুন করে 'চীনা অক্ষর' যুক্ত করা হয়েছে। চীনা লেখাটি হলো: 'সর্বোচ্চ সত্যের রাজকীয় প্রাসাদ'- যা একটি তাওবাদী শব্দ। এর আগে লেখাটি সাদিয়ানের মসজিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না।

ধর্ম নিয়ে লেখা বই 'দ্য সোলস অব চায়না'র লেখক ইয়ান জনসন বলেন, এই মসজিদের দুঃখজনক ইতিহাস- বিশেষ করে হান উগ্র জাতীয়তাবাদের কবলে পড়ে ধ্বংস হয়েছিল। এখন নতুন করে মসজিদটির পুনর্গঠন ও পুনঃনামকরণ স্থানীয় জনগণের বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মুছে ফেলার আরেকটি প্রচেষ্টা।

২০১৪ সালে চীন সরকার উইঘুরদের বিরুদ্ধে 'কঠোর' অভিযান শুরু করে, যারা মূলত জিনজিয়াংয়ের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বাস করে। নীতিগুলোর মধ্যে নিপীড়নমূলক নজরদারি ব্যবস্থা এবং ইসলামী বিশ্বাসের বিস্তৃত প্রকাশের জন্য কঠোর শাস্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই অভিযানের ফলে শেষ পর্যন্ত প্রায় এক মিলিয়ন উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু বিচারবহির্ভূত আটক বা বন্দির শিকার হয়। জাতিসংঘ সে সময় বলেছিল, এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হতে পারে। চীন সরকার চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় বলে তার নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছে।

আর ২০১৮ সাল থেকে ইসলামি স্থাপত্যের ওপর আনুষ্ঠানিকভাবে চীন সরকারের অভিযানের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৮ সাল থেকে চীনজুড়ে ২ হাজার ৩০০টি মসজিদের তিন-চতুর্থাংশ পরিবর্তন বা ধ্বংস করা হয়েছে। গত বছর নাজিয়াইং মসজিদে পরিকল্পিত সংস্কারের প্রতিবাদে শত শত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। অবশেষে বিক্ষোভ দমন করা হয় এবং সংস্কার কাজ এগিয়ে যায়। তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে