‘ইন্ডিয়া’ কি তাহলে ‘ভারত’ হয়েই যাচ্ছে
জি–২০ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বক্তৃতা করছেন নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তাঁর সামনের নামফলকে ‘ভারত’ লেখা
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আজ শনিবার জি–২০ সম্মেলন শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদির নামফলকে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’–এর বদলে ‘ভারত’ লেখা হয়েছে। আজকের এ ঘটনা ভারতের নাম পরিবর্তনের জল্পনা–কল্পনাকে আরও জোরালো করেছে।
এর আগে জি–২০ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের নৈশভোজের আনুষ্ঠানিক নিমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রুপদি মুর্মু।
তবে এই নিমন্ত্রণপত্রে ভারতের প্রেসিডেন্টের পদবির জায়গায় ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’-এর বদলে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত।’ এরমাধ্যমে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে কি ‘ইন্ডিয়া’ নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘ভারত’ হয়ে যাচ্ছে? (বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়া ছাড়া পৃথিবীর সব জায়গায় ভারত ‘ইন্ডিয়া’ নামে পরিচিত)।
আজ শনিবার যখন মোদি জি–২০ সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন, তখন তাঁর সামনের টেবিলে যে নামফলক ছিল, সেখানে লেখা ছিল ‘ভারত’। অবশ্য জি–২০ সম্মেলনের লোগোতে হিন্দি ও ইংরেজিতে ‘ভারত’ ও ‘ইন্ডিয়া’—দুটি নামই লেখা হয়েছে।
এই ধরনের নামফলকে অতীতে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ লেখা হতো।
হিন্দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘জি–২০–এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিদেশি প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাচ্ছে ভারত।’
নয়াদিল্লিতে শঙ্খের আকৃতিতে নির্মিত ভারত মণ্ডপমে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
‘ভারত’ নামের পক্ষের সমর্থকেরা বলছেন, ব্রিটিশ উপনিবেশিকেরা ‘ইন্ডিয়া’ নাম দিয়েছে। ঐতিহাসিকেরা বলছেন, কয়েক শতাব্দীর উপনিবেশ শাসনের আগেও ‘ইন্ডিয়া’ নামটি ছিল।
বিজেপির আদর্শিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সব সময় তাদের দেশের নাম ‘ভারত’ করার পক্ষে।
তবে মোদির বিরোধীরা বলছেন, বিজেপিবিরোধী ২৮টি দলকে নিয়ে নতুন করে গঠিত ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলেপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স সংক্ষেপে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কারণে সরকার ভারতের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে কংগ্রেসের নেতৃত্বে নতুন এই জোট গঠন করা হয়েছে।
।