করোনায় একদিনে আরও ২৯ মৃত্যু, শনাক্ত ৮৩৪৫
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫৮৯ জনে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৩৪৫ জন। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এতে আরও জানানো হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ১৫৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ দুই হাজার ৫৫০ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৬৮টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৮ হাজার ২৪৭টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৮ হাজার ৮২১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৭ লাখ ২৬ হাজার ৪০৯টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৯ জনের মধ্যে রয়েছেন ১৫ জন পুরুষ এবং ১৪ জন নারী। মৃত ২৯ জনের ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন।
এতে আরও বলা হয়, মৃত ২৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের চারজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, খুলনা বিভাগের চারজন, সিলেট বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের তিনজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের দুইজন রয়েছেন। মৃত ২৯ জনের মধ্যে ২২ জন সরকারি হাসপাতালে এবং সাতজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৬৬৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৩৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৬৬ হাজার ১৭২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬১ হাজার ৭২৫ জন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার।
আরএ