শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

গত ১ মাসে করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে ঢামেকে মৃত্যু ১২৮

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনা ইউনিটে করোনাভাইরাসে ও উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত এক মাসে ১২৮ জন মারা গেছেন।

এরমধ্যে করোনায় পজেটিভে মারা যান ৪৫ জন। আর অন্যরা মারা গেছেন করোনা উপসর্গ নিয়ে। অপরদিকে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ৪১৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভর্তিদের মধ্যে পরীক্ষা করে ৫৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে আবার অনেকেই চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে চলে গেছেন।

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে জেলা থেকে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এক মাস ধরে প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কোরোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের নতুন ভবনে আমরা নরমাল রোগী ভর্তি নিচ্ছি না। তার কারণ হলো মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ডগুলোতে এখন করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি রাখা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মেডিকেল-২ নতুন ভবনের নয় তলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি নেওয়া হত। যেহেতু এখন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে, তাই আমরা আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার শুরু করেছি। তৃতীয় তলায় থেকে ৯ম তলা পর্যন্ত করোনা আক্রান্তদের ভর্তির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।’

করোনা রোগীদের সংখ্যা যদি আরও বেড়ে যায় তাহলে আগের মতোই পুরো ভবন করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি। পরিচালক বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত গত এক মাসে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আাসা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে ১২৮জন মারা গেছেন। আমাদের হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সব ধরনে ব্যবস্হা রয়েছে। আমাদের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক রোগীদেরকে সেবা দিয়ে আসছেন। আল্লাহর রহমতে কোন সমস্যা হবে না। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা.হাফিজ সরকার বলেন, ‘ঠাণ্ডা-কাশি, জ্বরে ও রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ২৫/৩০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তবে এ পর্যন্ত করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে ৪১৫ জন রোগী ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে ৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত পাওয়া গেছে।’

তিনি আরও জানান, ২০২১ সালের শেষের দিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। প্রতিদিন রোগী ভর্তি হলেও সে সংখ্যা খুবই কম ছিল। তবে এ বছর প্রথম থেকেই করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা আবারও বেড়েছে।

আমরা তাদের সুচিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এদিকে ঢামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের কর্তব্যরত ওয়ার্ড মাষ্টার মো.রিয়াজ উদ্দিন জানান, বর্তমানে করোনা ওয়ার্ডগুলোতে শিশু, নারী ও পুরুষ মিলে ৪১৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করাও হচ্ছে। হাসপাতালের মর্গের কর্তব্যরত ওয়ার্ড মাষ্টার মো. আব্দুল গফুর জানান, চলতি বছরে প্রথম মাসে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসে পজেটিভ ও উপসর্গ নিয়ে ১২৮ জন মারা গেছেন। পরে মরদেহ তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

এএইচ/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি তিন হাজার ডলারে পৌঁছেছে। আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) স্বর্ণের দাম ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে এই রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছায়। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ১৩ বার বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি ও ইউরোপের ওপর নতুন শুল্ক হুমকির কারণে বিশ্ববাজারে এই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ওয়াইন, শ্যাম্পেনসহ অন্যান্য অ্যালকোহলযুক্ত পণ্যের ওপর দুইশ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন।

বৈশ্বিক বাণিজ্যে এই অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ মূলত যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত হুইস্কির ওপর ইউরোপের শুল্কের প্রতিশোধ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, যদি ইউরোপের শুল্ক অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা সব ধরনের ওয়াইন, শ্যাম্পেনসহ অ্যালকোহলযুক্ত পণ্যের ওপর দুইশ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।

এর আগে ট্রাম্প সব ধরনের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এর জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নও যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে বলে বুধবার (১২ মার্চ) জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশন।

Header Ad
Header Ad

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ তাদের একটি সমুদ্র আছে যা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারে বিআইএএম অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের একটি সমুদ্র আছে। ব্যবসার জন্য সমুদ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বাংলাদেশের দীর্ঘ সমুদ্রতীরের কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামের সমুদ্রতীরের যেকোনো স্থানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং এটি কেবল একটি পর্যটন শহরই নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রও। তিনি আরও বলেন, নেপাল ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের কোনো সমুদ্র নেই, তাই তাদের জন্য বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ‘আমরা ব্যবসা করতে পারলে সবার ভাগ্য বদলে যাবে।’

ড. ইউনূস লবণ উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে জানতে চান বিদেশি আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে লবণ আমদানিতে আগ্রহী কিনা, কারণ কক্সবাজারের কৃষকদের উৎপাদিত লবণ এখন রফতানির সক্ষমতা অর্জন করেছে।

এছাড়া, তিনি পাইলট ভিত্তিতে কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়েও খোঁজ নেন।

প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় জনগণকে ভবিষ্যতের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কক্সবাজার অর্থনীতির একটি বৃহৎ শক্তি এবং এটি তথ্যপ্রযুক্তিরও একটি শহর হতে পারে।’

মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রধান উপদেষ্টার সামনে তাদের প্রস্তাব ও দাবি পেশ করেন।

Header Ad
Header Ad

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এজন্য মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি। প্রথমত, আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত করে বৈষম্যের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে আরও ভালো পরিবেশ চায়। দুর্ভাগ্যবশত, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে খাবারের রেশন কমাতে বাধ্য হয়েছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যতটা সম্ভব দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলব, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়।’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে না এমন আশা প্রকাশ করে গুতেরেস বলেন, ‘সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার
আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট
দুই বছরের কন্যাকে হারালেন আফগান ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই
রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ
সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্তে ৯ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানি মালামাল জব্দ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎ
৩ ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই মেসির দুর্দান্ত গোল, কোয়ার্টারে ইন্টার মিয়ামি (ভিডিও)