ডেঙ্গুতে আমার মা মারা গেছেন, আর কেউ যেন মারা না যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি: সংগৃহীত
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করতে হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দুই দিনের জ্বরে আমার মা ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। এই বেদনা আমি বুঝি। তাই ডেঙ্গুর ব্যাপারে আমার চিন্তা আছে। ডেঙ্গুতে আমি মাকে হারিয়েছি, আর কেউ যেন না হারায়। তাই ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির আগেই তা প্রতিরোধে জনসচেতনতায় গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ডেঙ্গু মোকাবেলায় পূর্বপ্রস্তুতি বিষয়ে আলোচনার সময় এ কথা বলেন তিনি।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সব রোগের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে যাতে রোগটি কারও হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা যায়। যাতে মানুষের ডেঙ্গু না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। মশা নির্মূলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশন এবং যে ঘরে মানুষ থাকে সেখানকার সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অনেক আলোচনা ইতোমধ্যে করেছি। আমি নির্দেশনা দিয়েছি যাতে ডেঙ্গু বৃদ্ধির সময়ে কোনোভাবেই স্যালাইন সংকট দেখা না দেয় এবং স্যালাইনের দামও না বাড়ে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালগুলো খালি রাখার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে করে যাদের প্রয়োজন তাদের ভর্তি করানো যায়। আর যাদের কম প্রয়োজন তাদেরও যেন হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যায়।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের ফগিং বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা আছে। এ বিষয়ে আলোচনা করব। সিটি কর্পোরেশনের সাথেও ওপেনলি আলোচনা করব।খালি এখানে বক্তৃতা দিয়ে চলে গেলাম, তারপর ভুলে গেলাম, সেটা করলে চলবে না। আমাকে কাজ করতে হবে, কথা কম কাজ বেশি।
ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গুর ভালো চিকিৎসা আছে উল্লেখ করে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, চিকিৎসাতে কোনও ঘাটতি হবে কিংবা চিকিৎসা জানে না- এমন আর হবে না। ভালো চিকিৎসা ঢাকার বাইরেও হবে, ঢাকার ভেতরেও হবে। এতে কোনও সন্দেহ নাই।
তিনি বলেন, জ্বর এলে আমরা যদি সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি হই, তাহলে ভালো চিকিৎসা এবং সুচিকিৎসা পাওয়া যাবে। ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিয়ে আমি বিশ্বাস করি, একেবারে উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসক যারা আছেন তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।