ট্রান্সফ্যাট মুক্ত নিরাপদ খাদ্য কমাবে হৃদরোগ ঝুঁকি
“সু-স্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি” প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) পালিত হবে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। ট্রান্স ফ্যাটি এসিড (টিএফএ) বা ট্রান্সফ্যাট একটি বিষাক্ত খাদ্য উপাদান যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ নানাবিধ অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ট্রান্সফ্যাট মুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে সব ধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্য দ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রবিধানমালা প্রকাশ করেছে। প্রবিধানমালাটি দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ট্রান্সফ্যাট ঘটিত হৃদরোগ ঝুঁকি কমিয়ে আনতে হবে।
খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও), যা ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। সাধারণত বেকারি পণ্য, প্রক্রিয়াজাত ও ভাজা পোড়া খাবার এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়ক সংলগ্ন দোকানে বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ডালডা ব্যবহৃত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর তথ্যমতে, ট্রান্সফ্যাট ঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ৪.৪১ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্সফ্যাট।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২২ উপলক্ষে এক প্রতিক্রিয়ায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবি এম জুবায়ের বলেন, ‘আমরা ট্রান্সফ্যাট মুক্ত নিরাপদ খাদ্য চাই। জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।’
জেডএ/এসআইএইচ