সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাসি ভাত গরম করে খেলে হতে পারে প্রাণঘাতী রোগ

ছবি সংগৃহিত

বাঙালিদের ভাত ছাড়া মুখ রোচে না। বেশিপভাগ বাড়িতেই আগেরদিনের ভাত পরেরদিন গরম করে খাওয়ার চল আছে। আবার কখনও সকালের ভাত রাতেও গরম করে খাওয়া হয়। তবে জানেন কি, ভাত বারবার গরম করলে তাতে বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই এমন কাজ ভুলেও করবেন না। বরং, যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটা ভাতই রান্না করার চেষ্টা করুন।

ভাত রান্নার পর যদি দীর্ঘ সময় সাধারণ তাপমাত্রায় সেটা রাখা থাকে তাহলে ‘ব্যাসিলাস সিরিয়াস’ নামক এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে থাকে। । সেই ভাত আবার গরম করা হলে ওই ব্যাকটেরিয়া বিষাক্ত হয়ে যায়। আর তারপর তা খেলে ডায়রিয়া, বমির সহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কর্মজীবীদের রান্নাবান্নার পেছনে খুব বেশি সময় ব্যয় করার সুযোগ হয় না অনেক সময়। একদিন রান্না করে সেটা বেশ কয়েকদিন ফ্রিজে রেখে খাই আমরা। আবার সকালে ভাত রান্না করে সেটি রাতে গরম করে খাই। তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কেবল গরম ভাত খেলেই হবে না, খেতে হবে টাটকা ভাত। এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটেনের ‘ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি’র একটি গবেষণা।

বাসি ভাত গরম করে খেলে হতে পারে যেসব রোগ

১। ভাত বারবার গরম করলে তার পুষ্টিগুণ চলে যায়। বাড়ে নানা অসুখের ঝুঁকি। ডায়রিয়া থেকে শুরু করে হতে পারে নানা জটিল অসুখ।

২। ঠান্ডা ভাতে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। যা গরম করলেও মরে না, বরং গরম করলে ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে। এই ভাত খেয়ে যে অসুখ হয় তাকে ফ্রায়েড রাইস সিনড্রোম বলে। যা শরীরের ভয়ানক ক্ষতি করে।

৩। ভাত বারবার গরম করে খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে ডায়রিয়াও।

৪। বাসি ভাত গরম করে খেলে কার্ডিওভ্যাসকুলার অর্থাৎ হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে- এমনটাই ম্যানচেষ্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাদের গবেষণায় তুলে ধরেছেন।

৫। অতিরিক্ত বমি এবং মলত্যাগের কারণে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যেতে থাকে। পানির অভাবে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। পেটের পেশির দ্রুত সঙ্কোচন-প্রসারণের ফলে যন্ত্রণা হতে শুরু করে। সাথে কারো কারো সারা শরীরেও ব্যথা লক্ষ করা যায়।

এই ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় 

১। বেঁচে যাওয়া খাবার বেশিক্ষণ বাইরে ফেলে রাখা যাবে না। বিশেষ করে ভ্যাপসা আবহাওয়া এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এ ধরনের ব্যাক্টেরিয়া উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। একই সাথে তাদের বিষক্রিয়ার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে থাকে।

২। অনেকে দুপুরে ভাত খেয়ে বেঁচে গেলে তা রাইসবোলের মধ্যে তুলে রাখে। পাত্রটি মাইক্রোওয়েভ প্রুফ হলে তা গরমও করে নেয় অনেকে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, খাবার সুরক্ষিত রাখতে হলে কাচের, বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করাই ভালো। রান্না করা ভাত ফ্রিজে তোলার আগে দেখে নেয়া জরুরি যে তা পুরোপুরি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এসেছে কি-না।

৩। বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করা থেকে সঠিক তাপমাত্রায় রাখা- সবই করে। তারপরেও যদি মনে কোনো সন্দেহ থাকে, তবে খাবারের প্রতি মায়া না রেখে চোখ বন্ধ করে তা ফেলে দিতে হবে।

Header Ad
Header Ad

বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সব ঈদ জামাতে অংশগ্রহণকারী, প্রবাসী শ্রমিক ও নারীসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। তিনি বলেন, "ঈদ নৈকট্য ও ভালোবাসার দিন। আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, সেটিকে স্থায়ীভাবে গড়ে তুলতে চাই।"

সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজের পর দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, "সব প্রতিকূলতার মধ্যেও ঐক্য অটুট রাখতে হবে। একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের মধ্য দিয়েই আমরা বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।"

জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ঈদের জামাত উপলক্ষে সকাল থেকেই রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহে প্রবেশ করেন। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তেও দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত প্রধান ঈদের জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। ক্বারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়। প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এই মাঠে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

সিয়াম সাধনার এক মাস শেষে নাড়ির টানে গ্রামে ফিরছেন অনেকে। যদিও ঈদযাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ, তবুও ঈদের সকালেও রাজধানী ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন বহু মানুষ।

সোমবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর ফকিরাপুল বাস টার্মিনালে সরেজমিনে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তেও অনেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। তবে পর্যাপ্ত পরিবহন সেবা না থাকায় কিছু যাত্রী বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন।

ফকিরাপুলের শ্যামলী কাউন্টারের ম্যানেজার মিঠু বলেন, "সকাল ৯টায় আমাদের একটি বাস ছেড়েছে, এরপর আবার বিকালে বাস চলবে। ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহার সকালে যাত্রী বেশি থাকে।"

এদিকে, গ্রীন লাইন পরিবহণের ম্যানেজার সৌমিত্র জানান, তাদের বিভিন্ন রুটে সারাদিন বাস চলবে। তিনি বলেন, "আজ সকাল থেকেই প্রচুর যাত্রী রয়েছে। বেশিরভাগ পরিবহন বন্ধ থাকায় চাপও বেশি।"

চট্টগ্রামগামী যাত্রী ফরিদুল ইসলাম বলেন, "আগেই বাড়ি ফেরার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু ছুটি না পাওয়ায় পারিনি। শেষ মুহূর্তে ছুটি পেয়ে ঈদের সকালেই রওনা হলাম। রাস্তা ফাঁকা থাকায় দ্রুত বাড়ি পৌঁছাতে পারবো।"

ইয়াসমিন নামের এক যাত্রী বলেন, "ভেবেছিলাম ঢাকাতেই ঈদ করবো, কিন্তু বাচ্চারা মামাবাড়ি যেতে বায়না ধরায় যেতে হচ্ছে। বাস সংকট থাকলেও আলহামদুলিল্লাহ, সিট পেয়েছি।"

শেষ মুহূর্তেও যারা গ্রামে ফিরছেন, তারা পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে মুখিয়ে আছেন।

Header Ad
Header Ad

ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দানবীয় হামলায় কেঁপে উঠেছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। সোমবার (৩১ মার্চ) আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই হামলায় অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

এছাড়া, দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকা ৮ চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী এবং জাতিসংঘের একজন কর্মচারীও রয়েছেন। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সংস্থা (আইএফআরসি) এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ২৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জন আহত হয়েছেন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ হাজারো মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

ঈদের দিনেও গাজার আকাশজুড়ে বোমা বিস্ফোরণ ও কামানের গোলার শব্দ। শিশুরা নতুন পোশাকের বদলে ক্ষুধার্ত ও আতঙ্কগ্রস্ত। ঘরবাড়িহীন মানুষরা আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে, কিন্তু নিরাপদ স্থান নেই কোথাও।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "ঈদের দিন যেখানে ফিলিস্তিনিরা আনন্দ উদযাপন করত, সেখানে আজ কেবল ধ্বংসস্তূপ আর আর্তনাদ।" গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, ফলে মানুষের জন্য ঈদ এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দুই দিনে রাজধানী ছাড়লেন ৪১ লাখ মানুষ
ঈদেও রেহাই নেই গাজার, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গাজাবাসীর ঈদুল ফিতরের নামাজ
জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত: ডিএমপি কমিশনার
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া