নিওকোভ নিয়ে গবেষণা দরকার: ডব্লিউএইচও
অমিক্রনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আরেক করোনাভাইরাসকে ঘিরে বাড়ছে আতঙ্ক। নাম নিওকোভ (NeoCOV)। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) জানিয়েছে, চীনা বিজ্ঞানীদের উল্লেখিত নিওকোভ ভাইরাসটি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। উহান গবেষকদের একটি দল দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়ের মধ্যে একটি নতুন ধরনের করোনাভাইরাস, নিওকোভ খুঁজে পেয়েছেন। এক গবেষণায় গবেষকরা বলেছেন, এই ভাইরাসটি ভবিষ্যতে মানুষের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনার ধরন অমিক্রনেই থেমে থাকছে না। কোভিড-১৯-এর পরবর্তী ধরন অমিক্রনের চেয়েও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে সারা বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন অন্তত ২ কোটি ১০ লাখ মানুষ। কোভিড-১৯-এর তৃতীয় ঢেউ আসলে কতখানি তীব্র তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি জানিয়েছে, অমিক্রন ধরনেই থেমে থাকবে না কোভিড-১৯। আরও ধরন আসতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিওকোভের আবির্ভাব সম্পর্কে তারা সচেতন। তবে ভাইরাসটি মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাসকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়, ‘গবেষণায় শনাক্ত হওয়া ভাইরাসটি মানুষের জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে কিনা, তা নিয়ে আরও অধ্যয়নের প্রয়োজন।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ‘করোনাভাইরাস প্রায়ই বাদুড়ের মতো প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া যায়। এরা এই ভাইরাসগুলোর অনেক ক্ষেত্রেই প্রাকৃতিক আধার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।’
সংস্থাটির তরফে আরও বলা হয়েছে, তারা এই নতুন জুনোটিক ভাইরাস মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এর পাশাপাশি চীনা গবেষকদের তাদের রিসার্চের প্রিপ্রিন্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উল্লেখ্য, এই নিওকোভ দীর্ঘদিন ধরে বাদুড়ের শরীরে রয়েছে। মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণের কোনো খোঁজ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে ওই গবেষণায় আশঙ্কা করা হয়েছে, নিওকোভ কোভিড-১৯ ভাইরাসের মতোই মানব শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘নিওকোভের মাত্র একটি মিউটেশন হলেই মানব শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।’ উল্লেখ্য, এই নিওকোভ ভাইরাসটির সঙ্গে মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোমের অনেকটা মিল রয়েছে। মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম হলো এক ভাইরাল রোগ, যা ২০১২ সালে প্রথমবার সৌদি আরবে শনাক্ত হয়েছিল।
এসএ/