কোভিড সংক্রমণের এক বছর পরও থাকছে জটিলতা: আইইডিসিআর
বাংলাদেশে যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা সুস্থ হয়ে ওঠার এক বছর পরও কোভিড পরবর্তী নানা ধরনের জটিলতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইডিসিআর ২৬ জানুয়ারি এক গবেষণায় প্রকাশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল-সিডিসির সহযোগিতায় আইইডিসিআরের ফিল্ড এপিডেমিওলজি ট্রেনিং প্রোগ্রাম (এফইটিপি-বি) কোভিড-১৯ রোগীদের প্রাথমিক উপসর্গ এবং পরবর্তী জটিলতাগুলো নিয়ে এই গবেষণা করেছে। তবে কত দিন এবং কতজন রোগীর ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে তা জানায়নি আইডিসিআর।
কোভিডে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায়ে জ্বর, সর্দি, হাাঁচি, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি লোপ পাওয়া, অবসাদ ও দুর্বলতার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
আইইডিসিআরের গবেষণায় বলা হচ্ছে, সুস্থ হওয়ার পরও রোগীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা থেকে যেতে পারে। এসব সমস্যাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে কোভিড পরবর্তী জটিলতা বা 'পোস্ট কোভিড কন্ডিশনস'।
গবেষণার প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উপসর্গযুক্ত কোভিড-১৯ রোগীদের উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৩ মাস, ৬ মাস, ৯ মাস ও ১২ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর যথাক্রমে ৭৮ শতাংশ, ৬৮ শতাংশ ও ৪৫ শাতংশের দেহে কোভিড-১৯ পরবর্তি উপসর্গ দেখা গেছে। সংক্রমক ব্যাধি যেমন উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিকস আক্রান্ত রোগীদের কোভিড পরবর্তি উপসর্গে আশংকা ২ থেকে ৩ গুন পর্যন্ত বেশি।
আইইডিসির জানিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের মধ্যে যারা নিয়মিত ওষুধ সেবন করছেন, তাদের কোভিড পরবর্তী জটিলতার ঝুঁকি যারা ওষুধ সেবন করেন না, তাদের তুলনায় ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
একইভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে নিয়মিত ওষুধ সেবনকারীদের কোভিড পরবর্তী জটিলতার ঝুঁকি যারা ওষুধ সেবন করেন না তাদের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ কমে যায়।
এনএইচবি/কেএফ/