বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘তামাকমুক্ত দেশ গড়তে প্রয়োজন ধূমপানের ক্ষতি হ্রাস কৌশল’

২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে নিকোটিন-নির্ভর বিকল্প পণ্যসমূহ ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাজারজাতকরণের সুপারিশ করেছেন দেশি ও আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও নীতিপ্রণেতারা।

একইসঙ্গে, পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও ধূমপানের ক্ষতি হ্রাসের জন্য প্রচলিত সিগারেটের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পরামর্শ দেন তারা।

শনিবার (২৭ মে) রাজধানীতে তামাকের ক্ষতি হ্রাসকরণ বিষয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে দেশি-বিদেশি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও নীতিপ্রণেতারা।

সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অর্থ, শিল্প, বাণিজ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা।

তারা বলেন, তামাকের ক্ষতি হ্রাস ধারণাটি প্রাপ্ত বয়স্ক ধূমপায়ীদের ধূমপান ছাড়াতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল উপায়। এর মাধ্যমে যারা ধূমপান ছাড়তে আগ্রহী, তারা প্রচলিত সিগারেটের বিকল্প হিসেবে তুলনামূলক কম ক্ষতিকর পণ্য (রিডিউসড রিস্ক প্রোডাক্ট) ব্যবহার করে। এই সকল পণ্য থেকে প্রচলিত সিগারেটের মতো এটি তৈরি হয় না। যার ফলে এই পণ্যগুলো প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় ৯৫ শতাংশ কম ক্ষতিকর।

বর্তমানে যুক্তরাজ্য, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে ধূমপানের হার কমিয়ে আনতে দেশগুলোর সরকার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় কম ক্ষতিকর পণ্যসমূহ যেমন ভেপ, ই-সিগারেট ইত্যাদির ব্যবহার করতে উৎসাহিত করছে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) প্রণয়নের অন্যতম পথিকৃৎ ডা. ডেরেক ইয়াক বাংলাদেশের এফসিটিসি তৈরির পেছনে অবদানের প্রশংসা করে বলেন, ‘ক্ষতিহ্রাস কৌশল আগে থেকেই এফসিটিসির অংশ ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন বাংলাদেশে হয়নি। বাংলাদেশের সুযোগ রয়েছে দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য ক্ষতি হ্রাস কৌশলকে প্রাধান্য দেওয়ার। এতে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।’

অনুষ্ঠানে ধূমপানের ক্ষতি হ্রাস বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং ওয়ার্ল্ড মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশেনের সাবেক মহাসচিব ডা. ডিলন হিউম্যান বলেন, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার প্রধান লক্ষ্য হলো রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং রোগের কারণে অকাল মৃত্যু ঠেকানো।

তিনি বলেন, এতদিনের প্রচলিত তামাক নিয়ন্ত্রণ কৌশল দিয়ে বাংলাদেশকে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত করা সম্ভব হবে না।

ডা. হিউম্যান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক তিনজন মহাপরিচালকের একজন এবং জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

তার মতে, বর্তমানে বিশ্বে ১৪০ কোটি ধূমপায়ী আছে, যার দুই কোটি বাংলাদেশে। প্রচলিত তামাক নিয়ন্ত্রণ কৌশল এদের জন্য মৃত্যুর পরোয়ানার শামিল। এমন পরিস্থিতি উত্তোরণে তামাকের ক্ষতি হ্রাসে সমন্বিত কৌশল, বিজ্ঞান এবং কম ক্ষতিকর বিকল্পের নিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও তামাকের ক্ষতি হ্রাস নিয়ে ৭০টির বেশি গবেষণায় কাজ করা ডা. কনসটেন্টিনোস ফার্সিলিনোস বলেন, ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির গবেষণায় ধূমপানের ক্ষতিহ্রাস কৌশলের বিকল্প ভেপিং সাধারণ সিগারেটের তুলনায় ৯৫ শতাংশ কম ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

ভেপিং এবং নিকোটিন চুইংগাম ধূমপানের আসক্তি কাটানোর জন্য অন্যতম সহায়ক হিসেবে গবেষণায় প্রমাণিত। ধূমপানের এসব বিকল্প পণ্য বাংলাদেশের বাজারে সহজলভ্য এবং একটি ঝুঁকি অনুপাতিক নীতিমালা বাস্তবায়ন করা গেলে প্রচুর মানুষকে ধূমপানের মতো ক্ষতিকর নেশা থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

নিউজিল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মারেওয়া গ্লোভার, আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য কিংবা সুইডেনের মতো যদি বাংলাদেশ তামাকের ক্ষতি হ্রাস করতে চায় তবে ক্ষতি হ্রাসে সহায়ক পণ্যগুলো নিষিদ্ধ না করে একটি সুষ্ঠ কাঠামোর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীদের কাছে সহজলভ্য করতে হবে।

ওয়ার্ল্ড মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশেনের সাবেক সভাপতি এবং আফ্রিকা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশেনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. হোসি লেটলেপে তামাকের ক্ষতি হ্রাস কৌশল ও সেবাকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ভোক্তাদের অধিকার আছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সঠিক তথ্য পাওয়ার।

ডা. হোসির মতে, ধূমপায়ীদের দীর্ঘদিনের অভ্যাস ছাড়তে বিকল্পে আগ্রহী করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা পেশায় যুক্ত ব্যক্তিদের করণীয় অনেক। ভোক্তা এবং রোগীদের সঠিক তথ্য এবং পণ্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানাতে হবে। যদি তারা ধূমপান একেবারে ছাড়তে না পারে তবে তাদের তুলনামূলক কম ক্ষতিকর পণ্য বেছে নিতে সহায়তা করতে হবে।

আলোচকেরা বলেন, বাংলাদেশ সকল বাধা মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সুপরিচিত এবং বিশ্বের অন্যতম দ্রুত ক্রমবর্ধন অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচতি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের প্রয়োজন উন্নত বিশ্বে সাফল্য লাভ করেছে এমন নির্ভরযোগ্য ও পরীক্ষিত ক্ষতি হ্রাস কৌশল অনুসরণ করা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তামাকমুক্ত হওয়ার পাশাপাশি এশিয়া এবং সারা বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল হয়ে উঠবে।

সম্মেলনে ভোক্তাদের পক্ষ্ থেকে আলোচনায় অংশ নেন ভয়েস অব ভেপার্স বাংলাদেশের মুখপাত্র মাসুদ উজ জামান, ওয়ার্ল্ড ভেপার্স আলিয়ান্স এর পরিচালক মাইকেল ল্যান্ডাল ও গবেষণা সংগঠন উই আর ইনোভেশন এর প্রধান ফ্রেডরিকো ফার্নান্ডেজ।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই তংগোঝিরি পূর্ব-বেতছড়া এলাকার ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের পূর্ব বেতছড়া পাড়ার বাসিন্দা স্টিফেন ত্রিপুরা (৫০), মইশৈ ম্যা ত্রিপুরা (৪৮), তংগোঝিরি পাড়ায় বাসিন্দা জোয়াতিং ত্রিপুরা (৫২) ও মো. ইব্রাহিম (৬৫)।

এর আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে তংগোঝিরি পূর্ব-বেতছড়া এলাকার ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৬টি পরিবারের ঘরবাড়ি পুড়ে যায়। পাড়ায় গির্জা না থাকায় বড়দিন উদযাপনের জন্য তংগোঝিরি নামের আরেকটি পাড়ার গির্জায় গিয়েছিলো পাড়ার লোকজন। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাড়াবাসীর। অগ্নিকাণ্ডের পর বুধবার বিকেলে লামা থানায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন গঙ্গা মনি ত্রিপুরা নামে এক ব্যক্তি। মামলা পরে অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

গণভবন আর আদালতের মত সচিবালয় কেমন করে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতার খুব ভালো করেই জানা আছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পরে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র হয়েছে। িপ্রথমে জুডিসিয়াল ক্যুর চেষ্টা করা হলো। ছাত্ররা মাঠে নেমে সেটা রুখে দিলো। লীগ যখন আনসার হয়ে ফিরে আসছিলো, এই ছাত্ররাই তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি মাঠে নেমেছে। এনসিটিবিতে বই না ছাপিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র হলো, সেটাও ছাত্ররা প্রতিহত করলো।

তিনি লেখেন, এখন যখন স্বৈরাচার হাসিনাকে সার্ভ করা দালাল মিডিয়া, সময় টিভির ক্যু রুখে দেয়ার জন্য ছাত্ররা এগিয়ে আসলো, তখনই চারদিকে শুরু হলো সুশীলদের আহাজারি । আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বাস্তবতাবিবর্জিত মিথ্যা ছড়ানো হলো। আমরা বারবার বলেছি যে আমরা কোন সাংবাদিকদের লিস্ট দেইনি। অথচ এরপরেও পুরোপুরি বানোয়াট অভিযোগ তুলে আমাদের বিরুদ্ধে মিডিয়ার মাফিয়ারা ক্যু করলো। যে সময় টিভি যুগের পর যুগ বিএনপি, জামায়াত সহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী দলগুলোর ক্যারেকটার এসাসিনেশন করেছে, শহীদ আলিফকে হিন্দু ট্যাগ দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করেছে, জুলাই আন্দোলনকে টেরোরিস্টদের উত্থাণ বানিয়ে হাসিনার ছাত্র হত্যাকে নর্মালাইজ করেছে , ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা অভিযোগ করে ইমেজ নষ্ট করেছে, এমনকি বিএনপির প্রতিষ্ঠাকে ডিলেজিটিমাইজ করার এটেম্প্ট পর্যন্ত নিয়েছে, আজকে তাদের জন্য সুশীলদের মায়া কান্নার শেষ নেই। প্রতিবাদ করতে যাওয়া ছাত্ররা আমরা হলাম খারাপ, আর এদের কুকীর্তিকে সমর্থন দেওয়া সুশীলরা হয়ে গেল ভালো। এই সুশীলরাই কি গত ষোল বছর স্বৈরাচারের নুন-ঘি খেয়ে ফ্যাসিবাদকে পাকাপোক্ত করেনি? আমরা তো সেটার বিরুদ্ধেই কথা বলেছি।

হাসনাত আরও লেখেন, এখন ছাত্ররা দীর্ঘদিন ধরে দাবী জানিয়ে আসছে প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা শেখ হাসিনার দোসরদের অপসারণ করে প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের দায়িত্ব দেয়ার জন্য। কিন্তু সুশীলগিরি দেখিয়ে সরকার সেটি না করার পরিণতি গতকাল রাতে আমরা পেলাম। সরকারের কাছে অনুরোধ সুশীলগিরি ছেড়ে দোসরদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আসেন। স্বৈরাচারের দোসরদের সকল ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে বাঁচান। দেশের জনগণকে বাঁচান।

হাসনাত লেখেন এই সরকার দুই হাজার মানুষের লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতায় বসা সরকার। এই সরকার সুশীলতার মধ্যে দিয়ে আসেনি, এসেছে ২ হাজার শহীদ আর ৩০ হাজার আহত ভাই বোনের রক্তের উপর দিয়ে। সেই রক্তের সাথে আপোষ করার কোন সুযোগ নেই। আমরা শেখ হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছি একটা নতুন বাংলাদেশের জন্য, প্রশাসনলীগের হুমকি আর আগুন দেখার জন্য নয়। সরকারের কাছে অনুরোধ এদের হাত থেকে প্রশাসন মুক্ত করেন। যদি না করেন তবে গণভবন আর আদালতের মত সচিবালয় কেমন করে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতার খুব ভালো করেই জানা আছে।

Header Ad
Header Ad

অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৩১ জানুয়ারির পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানের বা কর্মরত থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, অনেক বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন-কর্মরত রয়েছেন। এ অবস্থায় অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত-কর্মরত ভিনদেশি নাগরিকদের আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানের বা কর্মরত থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জনের জন্য অনুরোধ করা হলো।

সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর-প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্যও অনুরোধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর অবৈধভাবে অবস্থানকারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের
বিপিএলে সাকিব না থাকায় হতাশ সুজন
বুধবার রাতে আগুন লেগেছিল ইস্কাটনের সচিব নিবাসেও
পূর্বাচলে হাসিনা পরিবারের প্লট নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু  
চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস, পরিবারে শোকের মাতম
বিডা’র আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ইলন মাস্ক
সচিবালয়ে আগুন: কারণ খুঁজতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
সরকার হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন: রিজভী
ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, একই পরিবারের ৪ জন নিহত
হাসিনার দালালেরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে: সারজিস
লামায় ত্রিপুরাদের পাড়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
সচিবালয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টারা