‘আরও ১০০ হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু আগামী সপ্তাহে’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে আরও ১০০টি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু হবে।
মঙ্গলবার (২ মে) সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে সাংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস পুরোদমে চলছে। এতে চিকিৎসক ও রোগী-সবাই সন্তুষ্ট। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ১০০টি প্রতিষ্ঠানে এ বৈকালিক চিকিৎসা সেবা শুরু হবে। ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ নামের একটি সেবা নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
আগামী ১১ মে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডানও থাকার কথা রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউনির্ভার্সাল হেলথ কাভারেজ আরও গতিশীল করতে যাচ্ছি। সরকারিভাবে দেশে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। ইউনির্ভার্সাল হেলথ কভারেজের ভিত্তি হলো জনগণকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। সরকারিভাবে বিনামূল্যে দিয়ে আসছি, এখন বেসরকারিভাবে কীভাবে রোগীদের খরচ কমিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই ইউনির্ভার্সাল হেলথ কাভারেজ আমরা অনেকাংশে বাস্তবায়ন করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। প্রথম মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ডা. টি হোসেন। ছোট আকারে অল্পকিছু ডাক্তার ও কর্মকর্তাদের নিয়ে এ অধিদপ্তরের কাজ শুরু হয়। তারা মুক্তিযুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা সেবা দেন।’
আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কলেবর অনেক বেড়েছে। যেখানে তখন একটি শয্যাও ছিল না, সেখানে এখন ৬০ হাজার শয্যা রয়েছে। ৩৩ হাজার চিকিৎসক রয়েছে। ৪৫ হাজার নার্স রয়েছে, যোগ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জেলা-উপজেলা, মেডিকেল কলেজ ও ইনস্টিটিউট মিলিয়ে সাড়ে ৭০০ হাসপাতাল রয়েছে। আঠারো হাজার ক্লিনিক হয়েছে। তার মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক ১৪ হাজার। একটি ওষুধও তৈরি হতো না। এখন সব ওষুধ বাংলাদেশে তৈরি হয়। বাইপাস সার্জারি, ট্রান্সপ্ল্যান্ট হচ্ছে বাাংলাদেশে। চিকিৎসা সেবার পরিধি অনেক বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এনডিসি, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এনএইচবি/এমএমএ/