শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

করোনাকালীন টিনএজারদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন

টিনেজার বলতে সাধারণত বয়:সন্ধিকালের সময়টাকে ধরা হয়ে থাকে। সাধারণত শিশুদের ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়স সময়কালকে টিনএজ বলা হয়। এটা এমন একটা বয়সকাল যেখানে শিশুরা শারীরিক, মানসিক এবং নৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। তাই এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেকে বুঝতে পারে না তাদের পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে কিভাবে মানিয়ে নিতে হবে। তাই এই বয়সের বাচ্চারা নানা রকম মানসিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়ে থাকে।

এই সময়টাতে পরিবারের পাশাপাশি শিশুরা তার সমবয়সী বন্ধুবান্ধব এবং তারা যাদের পছন্দ করে থাকে এমন মানুষদের চিন্তা ও ব্যবহার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। যা শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও নৈতিকতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শিশুরা যদি এই সময়টাতে পরিবার ও বন্ধুদের কাছে ইতিবাচক ব্যবহারও গ্রহণযোগ্যতা পায় তখন তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।

শিশু বিকাশের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টাতে করোনার মহামারী ও তাদের মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা তৈরিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যেহেতু পুরো বিশ্বব্যাপী শিশু-বৃদ্ধ সকলের জীবনযাত্রায় করোনার মহামারীর কারণে নানা পরিবর্তন ঘটেছে।
আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই, শিশুরা অবসাদ, উৎকন্ঠা, মৃত্যু ভয়, মা-বাবাকে হারানোর ভয় এবং হসপিটালে একা থাকার ভয়ে ভুগছে, এই সবকিছু শিশুদের মানসিক বিকাশে খারাপ প্রভাব ফেলছে।
করোনার মহামারীর প্রতিরোধ করার জন্য অনাকাঙ্খিত লকডাউন সকলের দৈনন্দিন জীবনের ওপর প্রভাব ফেলেছে। দৈনন্দিন জীবনযাত্রা রুটিন পরিবর্তন করে দিয়েছে, যার সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়েছে আমাদের শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর । সামাজিক দুরত্ত বজায় রাখার জন্য বেশির ভাগ স্কুল বন্ধ দেয়া হয়েছে, বাসা থেকে অনলাইনে ক্লাস করা হচ্ছে। হঠাৎ শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সামাজিক মেলামেশার এই পরিবর্তন শিশুদের মন মানসিকতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।

স্ট্রেসের কারনে শিশুদের মাঝে অবসাদ,উদ্বেগ,পানিক আটাক,পিটিএসডি, মুড এর সমস্যা, ঘুমের সমস্যাসহ নানা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।বেশিরভাগ শিশু-কিশোর তাদের বন্ধু হিসেবে ডিভাইস যেমন- মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব, কম্পিউটার কে বেছে নিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে অনলাইন গেম ও ইন্টারনেট ব্যবহারে অনেক সময় পার করায় তাদের মধ্যে ডিভাইসের প্রতি আসক্তি দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে তাদের ব্যবহার, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের উপর।
এছাড়া তাদের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশা দেখা দিয়েছে। বর্তমান জীবনের প্রতি গ্রহণযোগ্যতা কমে যাওয়ায়, শিশু-কিশোরদের মাদক দ্রব্যের দিকে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। শিশু-কিশোরদের কোন পরিস্থিতি মানসিক অবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন– পরিবারে অর্থনৈতিক সমস্যা, লম্বা সময় বাসায় থাকার কারনে বাবা-মা এর বাসা থেকে কাজ করা, বাবা ও মায়ের সম্পর্কের দ্বন্দ্ব, তাদের চাকুরি হারানোর ভয়, ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা ও হতাশা,পরিবারের সদস্যদের অসুস্থ হওয়া, নিজের অসুস্থ হওয়ার ভয়, বাবা- মায়ের সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করা ইত্যাদি ।
শিশু-কিশোরদের সুস্থ মানসিক বিকাশে কিভাবে সহযোগিতা করা যেতে পারে-
মা–বাবা/ অবিভাবকেরা নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিলে ভালভাবে তাদের শিশুদের যত্ন নিতে পারবেন। তারা শিশুদের সঙ্গে কোভিড-১৯ নিয়ে কথা বলবেন, এক সঙ্গে বসে টিভি দেখবেন; তাতে করে কোভিড-১৯ এবং কোয়ারেন্টাইন নিয়ে শিশুদের ভয় অনেক কমে যাবে। শিশুরা বাবা মা/অবিভাবকদের চোখে মুখে উৎকণ্ঠা দেখলে তারাও সেভাবে আচরন করবে।
বাবা-মা/ অবিভাবকগন তাদের বয়ঃসন্ধিকালের শিশুদের ভাল থাকার জন্য নিজেরা হু এর নির্দেশিকা অনুসরণ করতে পারেন -
১) সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা
২) ভাল হাইজিন বজায় রাখা- হাত ধোয়া,মাস্ক পরা
৩) টি ভি,সামাজিক মাধ্যমে বেশি সময় খবর না শোনা বা দেখা- কারন এতে স্ট্রেস অনেক বেড়ে যায়।
৪) নিয়মিত ব্যায়াম ,ইয়োগা, মেডিটেশন করা ,সুশম খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুমানো।
৫) অ্যালকোহল বা মাদক দ্রব্য গ্রহন না করা।

বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী টিনএজাররা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নের জন্য যা করতে পারে-
১) উদ্বিগ্ন হওয়াকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেয়া। মহামারির সময়ে উদ্বিগ্ন হওয়া খুব স্বাভাবিক, এটার হাত থেকে নিজেদের প্রটেক্ট করতে আমরা কিছু বিষয় খেয়াল রাখব যেমন-হাত ধোয়া, ভিড় এড়িয়ে চলা এর মধ্য দিয়ে নিজেকে এবং অন্যকে সুস্থ রাখতে পারি।
গুজবে কান না দেয়া। ভয় পেলে বাবা-মা এর সাথে কথা বলা। কোভিড ১৯ শিশুদের জন্য মারাত্বক নয় চিকিৎসার মধ্য দিয়ে আমরা নিজেকে সুস্থ করতে পারি। এ বিষয়ের উপর খেয়াল রাখলে ও জানলে তা আমাদের উৎকণ্ঠা কমাতে সাহায্য করে।
২) অন্য কাজে মনোনিবেশ করা
যেমন– হোম ওয়ার্ক করা, মুভি দেখা বা গল্পের বই পড়া ইত্যাদি।
৩) বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম যেমন- সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা। অভিভাবকের মতামত নিয়ে সীমিত সময় ব্যবহার করা। কারন অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম অনেক ক্ষতির কারণ হতে পা্রে।
৪) নিজের প্রতি মনযোগ দেয়া। নতুন কিছু করা যেমন- নতুন কোন বই পড়া, নতুন কিছু শিখা।এই পরিবর্তিত সময়ে নতুন কিছু করে নিজের মানসিক সাস্থের যত্ন নেয়া যেতে পারে।
৫) নিজের অনুভুতিকে বোঝা।পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানো, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, শখ মেটানো, খেলাধুলা করতে না পারলে মন খারাপ হওয়া সাভাবিক, এটা মেনে নিলেই ভাল হয়। তখন বিভিন্নভাবে অনুভুতিকে প্রকাশ করা যায়। যেমন–আঁকা ,বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলা ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে সবকিছু মনের মত নাও হতে পারে, আমরা সুন্দর চিন্তার মধ্য দিয়ে তা মনের মত করে নিতে পারি।
৬) নিজের এবং অন্যের প্রতি সদয় হওয়া
করোনার ও অন্যান্য সময়ে লক্ষ্য করলে দেখা যায় কিছু টিনএজরা স্কূলে বুলিং এর শিকার হচ্ছে। এবিষয়টিতে তারা তাদের বন্ধুদের বা বড়দের সাহায্য নিতে পারে।পরিবারকে এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
আমাদের সবার সুন্দর মন আছে। সুন্দর মনের অনেক গুণাবলী আছে। সেই জায়গা থেকে আমরা অন্য কাউকে হয়রানি হতে দেখলে তাকে সাহায্য করতে পারি । আমাদের একটি সুন্দর ব্যবহার ও একটি সহানুভুতির কথা অন্য কারো জীবনে অনেক পরিবর্তন আনতে পারে।
এমন কোন কথা বলবো না যা দিয়ে অন্যের মনে আঘাত আনতে পারে। আমরা মনের কথাটি বুঝিয়ে বলতে পারি।
এছাড়া টিন এজ শিশুরা বাবা-মাকে ঘরের কাজে সাহায্য করতে পারে। আবার সামাজিক দুরত্ত বজায় রেখে বয়স্ক প্রতিবেশিদের সাহায্য করতে এগিয়ে যেতে পারে। কারন ভালো কাজ করার মধ্য দিয়ে নিজের মন ভাল রাখতে পারে।

লেখক: বয়স্ক ও শিশু মনরোগ বিশেষজ্ঞ

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত