করোনায় আরও ৬০১ মৃত্যু, শনাক্ত ৩ লাখ
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ৬০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ১২ হাজার ৪২১ জন।
রবিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৬ লাখ ৪৫ হাজার ৭৭২ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৪ কোটি ৯৬ লাখ ৭৬ হাজার ৬২৩ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯ হাজার ৫৯১ জন এবং মারা গেছেন ১৮০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার ৮৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫০ হাজার ১৯৩ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৫২১ জন এবং মারা গেছেন ৩৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৬ হাজার ৬৪০ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৯০৮ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৭২৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৮ জন। রাশিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ছয় হাজার ৬৬৯ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৫৫ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৫২ জন এবং মারা গেছেন ৩৩ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার ২৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৩ জন। ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৪ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ৪২৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/