করোনা কেড়ে নিল আরও ৫৬৯ প্রাণ
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ৮৬৬ জন।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৬ লাখ ৬ হাজার ৩৮৮ জনে। আর মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৩ কোটি ৭৯ লাখ ১২ হাজার ১৪৩ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ফ্রান্স। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান ও ইন্দোনেশিয়া।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৬২২ জন এবং মারা গেছেন ৪২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার ৫৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৭ হাজার ৬৯ জন মারা গেছেন।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৬৪৫ জন এবং মারা গেছেন ১০৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৬৯ লাখ ৭১ হাজার ৭২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক লাখ ৫৭ হাজার ৪২৯ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসটিতে শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ৪২১ জন এবং মারা গেছেন ৬১ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৬৭১ জন এবং মারা গেছেন ১৮ জন। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ২৫৭ জন এবং মারা গেছেন ৬৯ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৮২৮ জন এবং মারা গেছেন ৪২ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৬১ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩১৯ জন এবং মারা গেছেন ৪০ জন। ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৯ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন চার হাজার ৬৩৯ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/