বিশ্বে করোনায় আরও ৬৬৩ মৃত্যু
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ৬৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৬৯৫ জন।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭৭ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৫৫ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৩ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ফ্রান্স। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানে নতুন করে ভাইরাসটিতে শনাক্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৬৩৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন। এ ছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৭ লাখ ১২ হাজার ৭২৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৮৩১ জনের।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৭৬৮ জন এবং মারা গেছেন ১১২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৬৮ লাখ ১৩ হাজার ৩৮৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৪ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৩৪১ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫১০ জন এবং মারা গেছেন ১৮ জন। রাশিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৭৮১ জন এবং মারা গেছেন ৭১ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪৫৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৫৫ জন এবং মারা গেছেন ৫৬ জন। ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৯ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন। ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন তিন হাজার ৭৩১ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/