সচেতনতাই পারে স্তন ক্যানসারে মৃত্যুঝুঁকি কমাতে: ডা. ফারজানা
সচেতনতাই পারে স্তন ক্যানসারে প্রথমিক পর্যায়ের রোগকে সনাক্ত করে মৃত্যুঝুঁকি কমাতে বলে মন্তব্য করেছেন ইমপালস-মাই কেয়ার (প্যালিয়েটিভ অ্যান্ড জেরিয়াট্রিক কেয়ার সেন্টার) হাসপাতালের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ডা. ফারজানা ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘স্তন ক্যানসার নারীদের মৃত্যুর অন্যতম একটা কারণ। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বে স্তন ক্যানসার একটি বড় সমস্যা। সচেতনতাই পারে স্তন ক্যানসার প্রথমিক পর্যায়ে রোগকে সনাক্ত করে মৃত্যুঝুঁকি কমাতে এবং যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব।’
রবিবার (৩০ অক্টোবর) ইমপালস-মাই কেয়ার হাসপাতালের উদ্যোগে ‘স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস’ উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ডা. ফারজানা ইসলাম বলেন, বদরুন্নেছা মহিলা কলেজের ছাত্রীদের এই সচেতনতামূলক কর্মসূচি থেকে স্তনের স্ব-পরীক্ষা শিখানো ও স্তনের স্ক্রিনিং টেস্ট সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।
তা ছাড়া, স্তন ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য শুরুতেই কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সে সম্পের্কে ধারণা দেওয়া হয়। ছাত্রীদের জীবনযাপন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয় যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধমূলক খাদ্য সম্পর্কেও ধারণা প্রদান করা হয় এ অনুষ্ঠানে।
তিনি আরও জানান, এ আয়োজনের মাধ্যমে স্তন ক্যানসার বিষয়ে সচেতন করা হয় এবং কীভাবে এর থেকে প্রতিকার পাওয়া যায় সেজন্য ছাত্রীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ডা. ফারজানা বলেন, প্রাথমিকভাবে ক্যানসার শনাক্ত করা গেলে এবং সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পেলে সুস্থ হওয়া সম্ভব।
রক্ষণশীল পরিবারের নারীরা সাধারণত জড়তা থেকেই রোগ সম্পর্কে কাউকে কিছু জানাতে চান না। জড়তা কাটিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় নিরাময়ের ব্যবস্থা নিতে হবে, যোগ করেন তিনি।
এ সময় ডাক্তার ফারজানা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য জানিয়ে বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। মারা যান বছরে প্রায় সাত লাখ নারী। উন্নত দেশগুলোয় স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের হার বেশি। তবে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোয় মৃত্যুহার তুলনামূলক বেশি। বাংলাদেশের নারীদের মধ্যেও বেশি দেখা যায় স্তন ক্যানসার।
স্তন ক্যানসার থেকে আরোগ্য লাভ করা ও এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান ডা. ফারজানা।
অনুষ্ঠান শেষে অভিজ্ঞ ডাক্তার ও নার্স ছাত্রীদের ব্রেস্ট সেলফ-এক্সমিনেশন করার পদ্ধতি সম্পের্কে প্রশিক্ষণ দেন।
এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম বদরুন্নেছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিকুন নাহার এবং অধ্যাপক ড. শায়লা নাসরিন।
কেএম/এমএমএ/