বিশ্বে করোনায় আরও ৩৯৫ মৃত্যু, শনাক্ত ২ লাখ
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ৩৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ ৯০২ জন।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৫ লাখ ৮২ হাজার ৮২১ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৩ কোটি ২৯ লাখ ৯ হাজার ৭৪৪ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে তাইওয়ান, ইতালি, জাপান ও ফিলিপাইন।
গত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৬৫ জন এবং মারা গেছেন ৬৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭৪ লাখ ৫০ হাজার ১৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১২ হাজার ৩২৩ জন মারা গেছেন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন আট হাজার ৬৭২ জন এবং মারা গেছেন ৮৮ জন। এ ছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৭ জনের।
এ ছাড়া ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭০ জন। ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৫৫৩ জন এবং মারা গেছেন ৫২ জন। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ১৪ জন এবং মারা গেছেন দুই জন। ফিলিপাইনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৭ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার ৫৮৫ জন। জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৮৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৪৪ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ২৫৬ জন এবং মারা গেছেন ১৬ জন।
ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার ৮৩৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/