করোনায় আরও ৬১৬ মৃত্যু, শনাক্ত আড়াই লাখ
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ ৪২ হাজার ৭১৩ জন।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৫ লাখ ৮২ হাজার ২২২ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৩ কোটি ২৬ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৩ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ইতালি। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া, ব্রাজিল, জাপান ও তাইওয়ান।
গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৭৪৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৬৫ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৩৭ জন মারা গেছেন।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৭৭৫ জন এবং মারা গেছেন ৯২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৩৩ লাখ ২২ হাজার ৫২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক লাখ ৭৮ হাজার ৫৪২ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ৩৪২ জন এবং মারা গেছেন ৩৩ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৪৮ জন এবং মারা গেছেন ৯০ জন। তাইওয়ানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৬৫৪ জন এবং মারা গেছেন ৫২ জন। জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ১৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৭৮ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৮২৩ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৪ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৭৪২ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/