ডেঙ্গুতে মৃতদের মধ্যে ৩৫ শতাংশই শিশু
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৫ জন। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশই শিশু। অন্যদিকে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর মৃত্যু ৩৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর জানান, মশা নিয়ন্ত্রণে কোথাও একটা ফাঁক-ফোকর থেকে যাচ্ছে। যে কারণে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, ২০১৭ সালে দেশে ডেন-ওয়ান ও ডেন-টু সেরোটাইপ ডেঙ্গুর উপস্থিতি ছিল। এরপর ২০২১ সালে ডেন-থ্রি ছিল। এবার ঢাকার ডেন-ফোরের উপস্থিত পাওয়া যাচ্ছে।
ডা. তাহমিনা শিরীন আরও বলেন, ঢাকার বাইরে কক্সবাজারে ডেন-ওয়ান, ডেন-থ্রি ও ডেন-ফোর সেরোটাইপ ডেঙ্গু হচ্ছে। একাধিক সেরোটাইপে সংক্রমণ ঘটায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি।
জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. ইকরামুল হক বলেন, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ শতাংশ শিশু। যাদের বয়স এক থেকে ১৮ বছর। ২০ বছরের বেশি আক্রান্ত হয়েছে ৬২ শতাংশ মানুষ। আর মৃতদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ শিশু। ২১ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছর।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হাসপাতালে ভর্তির এক থেকে তিন দিনের মধ্যে মারা যান ৪৮ জন। ১৮ জন মারা যান ৩-৬ দিনের মধ্যে, ৬-৯ দিনে মধ্যে মৃত্যু হয় ৬ জনের। আর ৯-৩০ দিনে মারা গেছেন তিন জন।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১-১০ বছরের ১২ জন। ১০-২০ বছর বয়সের ১৪ জন, ২০-৩০ বছরের ১৬ জন, ৩০-৪০ বছরের ৮ জন, ৪০-৮০ বছরের ২৫ জন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৫ জন। এর মধ্যে ৪৬ জন নারী ও ২৯ জন পুরুষ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ জন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ জন আর ঢাকার বাইরে ৪৮ জন। এর মধ্যে ১৮ জন রোহিঙ্গা।
কীটতত্ত্ববিদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, মশা নিধনে যে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হলে তা মশার জন্য সহনশীল হয়ে পড়ে। তাই কীটনাশক কেনার আগে ৯০ শতাংশ মরবে কি না সেটি নিশ্চিত হয়ে কেনা উচিত।
আরইউ/এমএমএ/