সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নার্স-সিন্ডিকেট চক্র পাচার করছে লাখ লাখ টাকার ওষুধ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) বসেই সরকারি ওষুধ রোগীদের কাছে বিক্রি করছেন নার্স-সিন্ডিকেটরা। হাসপাতাল থেকে লাখ লাখ টাকার ওষুধ বাইরে পাচার করে দিচ্ছে এই সিন্ডিকেট চক্রটি।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওষুধের স্টোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীও জড়িত রয়েছে এ চক্রের সঙ্গে। নিউজ পোর্টালে, পত্রিকা ও টিভিতে এসব ঘটনার সংবাদ বার বার প্রকাশ হওয়ার পরও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের কোনো টনক নড়ছে না। এর কারণ কী সাধারণ মানুষ জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। হাসপাতালে এই রকম অনেক অহরহ ঘটনা ঘটছে। ধরা পড়লে জানা যায়, আর ধরা না পড়লে তাদের কার্যক্রম চলতেই থাকে।

এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে, লক্ষ্মীপুরের চন্দগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় লিভারের সংক্রমণে আক্রান্ত ফয়সাল হোসেনকে (১৯)। পরে চিকিৎসকের পরার্মশে ভর্তি হন মেডিসিন বিভাগের ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডের এক্সটা-২০ নম্বর বেডে। চিকিৎসক তাকে দেখে হাই অ্যান্টিবায়োটিক মেরোপেনেম ইনজেকশন লিখে দেন। চিকিৎসকের পরামর্শে প্রতিদিন তাকে একটি করে ইনজেকশন দেওয়ার কথা। সরকারিভাবে এই ইনজেকশন বরাদ্দ রয়েছে। তবে ওই ওয়ার্ডের নার্স রোগীর স্বজনদের বলেন, এটা আমাদের এখানে সরসরাহ নেই। নার্স বলেন, টাকা দিলে তিনি ব্যবস্থা করে দেবেন।

তারপর এক হাজার টাকা করে দু'টি ইনজেকশন রোগীর স্বজনের কাছে ২০০০ টাকায় বিক্রি করেন ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডের ডিউটিরত সিনিয়র স্টাফ নার্স বিপ্রজিত মণ্ডল। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এ বিষয়ে লিখিতভাবে ভুল স্বীকার করেন বিপ্রজিত মণ্ডল পার পেয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোগী ফয়সাল হোসেনের ভাবী পলি আক্তার বলেন, আমার দেবর ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয় ১৯ সেপ্টেম্বরে ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডের এক্সটা-২০ নম্বর বেডে তার চিকিৎসা চলছে।

তিনি বলেন, চিকিৎসক একটি হাই অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন লিখে দেন। পরে এখানে ডিউটিরত নার্স বিপ্রজিত মণ্ডল জানান, এক হাজার টাকা করে দিলে সে এই ইনজেকশন ব্যবস্থা করে দিতে পারবে। পরে আমরা তার কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে দুটি ইনজেকশন দুই হাজার টাকায় কিনে নেই। আমরা তো বুঝতে পারিনি এটা যে সরকারি ইনজেকশন।

তিনি সরকারি ইনজেকশন আমাদের কাছে বেচে দিয়েছেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরেছি। বিষয়টি জানাজানি হলে নার্সদের সিনিয়র অফিসাররা এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সিনিয়র স্টাফ নার্স বলেন, সরকারি ওষুধ বা ইনজেকশন কোনোভাবেই রোগীর কাছে বিক্রি হতে পারে না। সরকার যে ওষুধ ফ্রি দিয়েছে, সেটা তিনি কীভাবে বিক্রি করলেন। এটি একটি অনেক বড় অপরাধ। একটি দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এটি করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা জানতে পেরেছি, ভুল স্বীকার করে একটি লিখিত আবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন বিপ্রজিত।

তিনি আরও বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাই। এ অপরাধে যদি সে বেঁচে যায় তাহলে অনেকেই এরকম অপরাধে জড়িয়ে পড়বে। আর সাধারণ নার্সরা কেন এই দায় নেবে।

সরকারি ইনজেকশন রোগীর কাছে বিক্রির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ঢামেক হাসপাতালের নার্সিং সেবা তত্ত্বাবধায়ক লিখা বিশ্বাস বলেন, ‘এ বিষয়ে আপনার এত ইন্টারেস্ট কেন?’

এরপর তিনি বলেন, ‘সে ভুল স্বীকার করে আমাদের কাছে লিখিত একটি আবেদন দিয়েছে। আবেদনে এমন ভুল আর কখনো হবে না বলে ক্ষমা চেয়েছে সে। আমরা তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। পরবর্তী সময়ে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাকে ওই ওয়ার্ডে ডিউটিতে আর রাখব না। তাকে ঢামেক হাসপাতালের অন্য জায়গায় ডিউটি দেওয়া হবে। দুই দিনের জন্য পূজার ছুটিতে আছে।’

ছুটি শেষে এলে তাকে অন্য জায়গায় ডিউটি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। লিখা বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা তাকে প্রথমবার সুযোগ দিয়েছি, দ্বিতীয়বার আর এই সুযোগ দেওয়া হবে না।’এ বিষয়ে জানতে সিনিয়র স্টাফ নার্স বিপ্রজিত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর তিনি এই ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন ওয়ার্ড মাস্টারের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলনে, হাসপাতালে এই সব সিন্ডিকেটের কারণে রোগীরা ঠিকমত ওষুধ ও অন্য কোনো জিনিসই পাচ্ছেন না।

কর্তৃপক্ষকে চোখের আড়াল করে তারা লাখ লাখ টাকার ওষুধসহ বিভিন্ন জিনিস পত্র বাইরে পাচার করে দিচ্ছে। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্হা নিতে পারছে না।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.নাজমুল হক এ বিষয়ে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, তবে রোগীর স্বজনরা লিখিত অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই সব ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তাদের জন্য আমাদের হাসপাতালের দুর্নাম হচ্ছে।

এএইচ/এমএমএ/

Header Ad

ট্রেলারেই রেকর্ড গড়ল ‘পুষ্পা ২’

ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে ফুরালো দীর্ঘ তিন বছরের অপেক্ষার পালা। এই সিনেমা নিয়ে শুরু থেকেই দর্শকদের আগ্রহের পারদ ছিল তুঙ্গে। অবশেষে প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হলেন পুষ্পা’খ্যাত আল্লু অর্জুন। বহুল প্রত্যাশিত ‘পুষ্পা ২’-এর ট্রেলারেই দেখিয়ে দিলেন জাদু। এ ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানের জন্য বিহারকেই বেছে নিয়েছেন আল্লু অর্জুন।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিনেমার ট্রেলার প্রকাশের পর প্রত্যাশার পারদ আরও যেন বেড়ে গেল! ধুন্ধুমার অ্যাকশন আর মারকাটারি আয়োজনের মাঝে রাশ্মিকা মান্দানা-আল্লু অর্জুনের রোমান্টিক মুহূর্তের ঝলকও দেখা গেল। আল্লু অর্জুন আগেরবারের মতোই দাপুটেরূপে ফিরেছেন। বরং এবার আরও ভয়ানক, তা বলাই বাহুল্য।

ট্রেলারে চমকে দিলেন ফাহাদ ফাসিলও। পুলিশ অফিসারের চরিত্রে আবারও ঝড় তোলার আভাস দিলেন তিনি। প্রথম কিস্তিতে দুই তারকার সম্মুখ যুদ্ধের আভাস মিলেছিল। এবার তাদের যুদ্ধ দেখা যাবে পর্দায়।

এদিকে ট্রেলারটি মুক্তির পর একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছে। বাণিজ্য ওয়েবসাইট স্যাকনিল্কের প্রতিবেদন অনুসারে, ‘পুষ্পা-২ এর ট্রেলারটি ইউটিউবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা তেলেগু সিনেমার ট্রেলার হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। এটি মহেশ বাবুর গুন্টুর কারামকে ছাড়িয়ে গেছে। গুন্টুর কারাম প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ৩৭.৭০ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছিল। কিন্তু ‘পুষ্পা ২’ মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে এটিকে অতিক্রম করেছে এবং বর্তমানে ৪২ মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম হয়েছে এটির।

২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশিবার দেখা ট্রেলার হিসেবে শীর্ষে এখন ‘পুষ্পা ২’। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহেশ বাবুর ‘গুন্টার কারাম’ (৩৭.৭০ মিলিয়ন), তৃতীয় স্থানে প্রভাসের ‘সালার’ (৩২.৫৮), চতুর্থ স্থানে মহেশ বাবুর ‘সারকারু ভারি পাতা’ (২৬.৭৭ মিলিয়ন) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে প্রভাসের ‘রাধে শাম’ (২৩.২০ মিলিয়ন)।

্উল্লেখ্য, এ বছরের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত চলচ্চিত্র ‘পুষ্পা ২’ মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা করে নিয়েছে। আর এই বিগ বাজেটের সিনেমাতে অভিনয় করার জন্য আল্লু অর্জুন নিয়েছেন ৩০০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক। বলতে গেলে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। এবার দেখার পালা মুক্তির পর সিনেমাহলে কেমন রেকর্ড গড়ে। আগামী ৫ ডিসেম্বর সাতটি ভাষায় মুক্তি পাচ্ছে ‘পুষ্পা: দ্য রুল’।

Header Ad

হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক

হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) কড়া নিরাপত্তায় সকাল ১০টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় আব্দুর রাজ্জাককে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।

ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় আসামিদের অনেককেই হাসি মুখে দেখা যায়। তবে এর মধ্যে হাতজোড় করে দোয়া চাইতে দেখা গেছে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে হাত দিয়ে মোনাজাত ইঙ্গিত করে করে দোয়া চেয়েছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় কারাবন্দি সাবেক দুই উপদেষ্টা, সাবেক ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিব, এক বিচারপতিসহ ২০ জনকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয়।

এ ছাড়া পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান।

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ঢাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। এসময় তিনি শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর )সকাল সাড়ে ১১টায় শার্শা উপজেলার বেনাপোল বন্দর নগরীর বড় আঁচড়া গ্রামে আব্দুল্লাহর বাড়িতে পৌঁছান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম, যশোর জেলা পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, শার্শা থানা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, এসি ল্যান্ড নুসরাত ইয়াসিন, জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, বেনাপোল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত, শার্শা উপজেলা ছাত্রদল নেতা সামসুজ্জোহা সেলিম প্রমুখ।

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, আব্দুল্লাহর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান হয়েছে। তার পরিবারের জন্য যা প্রয়োজন সরকার তা করবে।

উপদেষ্টা সেখানে পৌঁছানোর পর আব্দুল্লাহর মা মাবিয়া খাতুন, বাবা আব্দুল জব্বার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা সন্তান হত্যা বিচার চান। মাবিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলেকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। যারা গুলি করেছে ও নির্দেশ দিয়েছে দ্রুত তাদের বিচার করতে হবে।’তবেই আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট কোটাবিরোধী আন্দোলনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ পুলিশের গুলিতে আহত হন। জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। তার কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি লাগে। এমন অবস্থায় প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা তিনি রাস্তায় পড়ে থাকেন।

প্রথমে তাকে মিটফোর্ড এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তার মাথা থেকে গুলি বের করা হয়। তবে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকলেও তাকে হাসপাতাল থেকে ১০ আগস্ট জোরপূর্বক ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

এরপর তাকে বেনাপোলে নিয়ে আসেন স্বজনরা। বাড়িতে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে ১১ আগস্ট রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় ডাক্তাররা দ্রুত আবারও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

গত ১২ আগস্ট সকাল ৭টায় তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা মাথার ভেতরে ইনফেকশন দেখতে পান যা তরল প্লাজমার মতো গলে গলে পড়তে থাকে। আবারও তার অপারেশন করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ২২ আগস্ট তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ দিকে মারা যান।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রেলারেই রেকর্ড গড়ল ‘পুষ্পা ২’
হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত
ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার চাইলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য
সৌদি আরবে কনসার্ট করবেন জেমস
৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
অগ্রাহায়নের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতকালে যেসব ইবাদতের কথা বলেছেন নবীজি (সা.)
প্রেমের টানে বিয়ের দাবিতে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে
মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে: ড. ইউনূস
দর্শকদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে চলে গেলেন পরীমণি
সাকিবকে নিয়ে চেন্নাইয়ে জল্পনা!