সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

করোনাকালীন সময়ে শিশুর মানসকি স্বাস্থ্যের যত্ন

জানুয়ারি ২০২০-এ করোনার প্রাদুর্ভাব হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে মহামারী ঘোষণা করে র্মাচ ২০২০। "করোনা" এমন একটি নতুন নাম যার সঙ্গে আমরা জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পরিচিত হয়েছি। আমরা সকলেই হয়তো বুঝতে পারছি না, কিভাবে মোকাবেলা করব এই কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে । শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সি মানুষই এই পরিস্থিতিরি সঙ্গে মোকাবেলা করছি । যার প্রভাব পড়ছে আমাদের শারীরিক ও মানসকি স্বাস্থ্যের ওপর। পরিবর্তন ঘটছে আমাদের জীবনযাত্রায়। বড়রা নিজেদের পরিবর্তনগুলি বুঝতে পারলেও শিশুরা খাপ খাওয়াতে পারছে না। ফলে সববয়সী মানুষকেই আতঙ্ক বা ভয় কিছুটা হলেও কাবু করছে। যারা আগে থেকেই মানসিকরোগে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে এর মাত্রা অনেকগুণ বেড়ে গেছে।

শিশুদের মধ্যে প্রধানত দুশ্চিন্তা, বিষন্নতাসহ বিভিন্ন আচরণগত সমস্যা হয়। শিশুরা তাদের উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা বড়দের মতো করে প্রকাশ করতে পারে না । ফলে সহজেই অস্থিরতা, রাগ, বিরক্তি, ভয় পাওয়া, ঘু্মের সমস্যা ইত্যাদি শিশুদের মাঝে দেখা যায়।

শিশুরা বড়দের পাশাপাশি টিভি/ ইন্টারনেট দেখেছে, কিন্তু তারা অনেক ইনফরমেশন বুঝতে পারে না। ফলে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে । তাই বাবা-মা অথবা পরিবারে অন্যবয়স্ক মানুষরা যদি বয়স উপযোগী এবং সহায়ক মনোভাব নিয়ে বিষয়গুলি আলোচনা করে থাকে তাহলে তাদের বুঝতে সহজ হবে এবং উদ্বেগের মাত্রা অনেক কমে যাবে।
তাছাড়া পরিবারে বা আশপোশে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে শিশুরা অনেক বেশি ভয় পেয়ে যাচ্ছে। শিশুদের মধ্যে অনিরাপত্তা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে । তারা তাদের প্রায় মানুষদের নিয়ে আতঙ্ক অনুভব করছে এবং সঠিকভাবে তাদের অনুভূতিগুলি প্রকাশ করতে পারছে না। উদাহরণস্বরূপ- আমার একটি কস্টের হিস্ট্রি আছে। দেখা যায় যে, একজন মা তার সাত বছর বয়সি শিশুর উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা এবং প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টের জন্য আমার শরণাপন্ন হন। হিস্ট্রি নিয়ে দেখা গেল শিশুটির দাদি মারা গেছে শ্বাসকষ্টে ভুগে তাই শিশুটি ভয় পাচ্ছে। তার মনে ভয় সেও একই কারণে মারা যায়।
শিশুটির অভিভাবক সঠিক সময়ে সাহায্যের জন্য নিয়ে আসাতে ওর সময়মত চিকিৎসা হয়। এই রকম অনেক শিশু বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে । বাবা–মা জিরো যেহেতু অনেক স্ট্রেসে আছেন,তারা হয়ত বাচ্চাকে যথেষ্ট মনযোগ দিতে পারছেন না।
ইউনিসেফ এবং হু এর ভাষ্যমতে শিশুদের কোভিড-১৯ সংক্ষিপ্ত নির্দেশিকা র্পযালোচনা করে দেখা যায় -
১। শিশুকে খোলাখুলি প্রশ্ন করে জানুন সে কোভিড-১৯ সর্ম্পকে কতটুকু জানে।
২। সৎ থাকুন-বিষয়টি শিশু বান্ধব উপায়ে ব্যাখ্যা করুন। তাদের প্রতিক্রিয়িা খেয়াল করুন এবং উদ্বেগের মাত্রা বোঝার চেষ্টা করুন এবং তাদের প্রতি সংবদেনশীল হোন। কোন কিছু বানিয়ে বলবে না। তাদের জানান মিডিয়ার সব তথ্য সঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতামত জানা প্রয়োজন ।
৩। ছেলেমেয়েরা কিভাবে নিজেদের এবং তাদের বন্ধুদের রক্ষা করতে পারে তা দেখিয়ে দেন। হাত ধোয়া, হাঁচি কাশির সময় কিভাবে কনুই দিয়ে নাক মুখ ঢাকতে হবে তা দেখিয়ে দিন। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, যাদের উপর্সগ আছে তাদের কাছে না যাওয়া এবং জর, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে বলুন।
৪। আস্বস্ত করুন ।
টিভি অনলাইনে মন খারাপ করা ছবি দেখে বাচ্চারা খুব ভয় পায়, তখন, বাচ্চাকে নিয়ে খেলাধুলা করে শান্ত করার চেষ্টা করুন। বলুন তাকে সুস্থ রাখার জন্যে বড়রা কাজ করছে।
শিশুকে বোঝান সে অসুস্থ হলে তাকে ঘরে বা হাসপাতালে থাকতে হবে। নিজের এবং অন্যদের ভালোর জন্যে, যদিও তা বোরিং।
৫। দেখুন শিশুরা কোন স্টগমার শিকার হচ্ছে কিনা ।
শিশুকে জানান যে কোভিড-১৯ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যে কারো হতে পারে। যে বুলি অথবা কোন হুমকির শিকার হলে সে যেন অভিভাবক কে জানায়।
৬। সাহায্যকারীদের নিজের দিকে নজর দিন। সম্মুখযোদ্ধাদের কথা শিশুদের বলুন, সহৃদয় লোকজন পাশে আছে জানলে সে স্বস্তি পাবে।
৭। নিজের প্রতি যত্নশীল হোন।
বাচ্চারা বড়দের ব্যবহার খেয়াল করে, তাই নিজেদের মানসকি স্বাস্থ্যর যত্ন নিন। কোন সংবাদে নিজের উৎকণ্ঠা হলে কারও সঙ্গে শেয়ার করুন, সময় নিন। বাচ্চাকে বুঝতে দিন আপনি ঠিক আছেন। ।
৮। সতর্কতার সাথে আলোচনা শেষ করুন।
আলোচনা শেষ করার সময় বাচ্চার উদ্বেগের মাত্রা বোঝার চেষ্টা করুন। বাচ্চার শরীরি ভাষা, কথা বলার ধরন এবং শ্বাস-প্রশ্বাস এর স্বাভাবিকতা দেখা।
শিশুর মানসিক চাপ কমাতে যা করা উচিত।
-শিশুকে যথেস্ট সময় দিন। শিশুর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং তার মনোভাব প্রকাশ করার সুযোগ দিন। শিশুর বয়স অনুযায়ী গল্প, ছবি অংক বা খেলার মাধ্যমে হতে পারে ।
-শিশুকে বাবা-মা এবং ফ্যামলিরি সদস্যদের কাছাকাছি রাখুন।
-পরিবারে নিয়মিত রুটিন বজায় রাখুন, কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছুটা শিথিলতার সাথে পড়াশোনার রুটিন করা, বয়স উপযোগী বাসার কাজে সাহায্য করা, খেলাধুলা করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা।
-উদ্বিগ্ন শিশুরা বাবা মায়ের কাছে ঘেঁষে থাকতে চায় এবং বেশি আবদার করে। বাবা-মা অনেক যত্ন সহকারে বাচ্চার কথাটি শোনে এবং বাচ্চার জায়গা থেকে বিষয়টি চিন্তা করে তাকে বুঝিয়ে দেয়।
বাচ্চার অভিভাবকদের প্রতি যে বিষয়গুলি নজর রাখতে বলছে তারা যেন তাদের বাচ্চাদের মানসকি স্বাস্ব্যের প্রতি আরও সর্তক ও যত্নশীল হয় এবং বাচ্চাদের ব্যবহার প্রতি জনে একটু নজর আরোপ করা। যে কারণে বাচ্চারা তাদের ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে তাদের সমস্যাগুলি প্রকাশ করে থাকে।
সবশেষে বলা যায় বাচ্চা যদি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যায়,তাহলে দয়া করে অনলাইনে বা সরাসরি চিকিৎসকের সাহায্য নিন। আমরা যদি মানসকিভাবে ভাল থাকি তাহলে সকল শারীরিক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে সক্ষম হই। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, মনের যত্ন নিন।

লেখক: শিশু ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দিল্লিতে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে এসব আলোচনা মূলত অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতেই হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে গুলিবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মিরে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে এবং শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতীতের সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার ইতিহাস তুলে ধরলেও এবারকার হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এখনো প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান সরকার সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ, তাই সামরিক সংঘাত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

ইরান ও সৌদি আরব মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানালেও, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি তাদের মনোযোগ সীমিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের ঘটনার তুলনায় এবার প্রমাণের স্বচ্ছতা কম, আর “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” নামে একটি অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও ভারত এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠনের ছায়া গোষ্ঠী বলে মনে করছে।

ভারতীয় সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে এবং মোদি সরকার “বড় ধরনের কিছু” করার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ