বিশ্বে একদিনে করোনায় শনাক্ত সাড়ে ৩ লাখ
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮০৬ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তিন লাখ ৫২ হাজার ৯০৫ জন।
রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৫ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৫ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ৩৩ লাখ ৯১ হাজার ১৭৯ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রাজিল।
জাপানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯ হাজার ৬৬৩ জন এবং মারা গেছেন ২১২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৯৯ লাখ ৬২ হাজার ৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪২ হাজার ৩১৩ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৮২ জন এবং মারা গেছেন ৮৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৭০ লাখ ৮২ হাজার ৩৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫৯ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৬০ জন। ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৫১৭ জন। মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৬৩ জন এবং মারা গেছেন ১৮ জন। তাইওয়ানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৮৩০ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৭ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৪৮৬ জন। ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৬৫ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন। থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১০৬ জন এবং মারা গেছেন ১৭ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৪৮ জন এবং মারা গেছেন ২৮ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
আরএ/