স্বল্পমূল্যে ডায়ালাইসিসের সুযোগ থাকলেও রোগী পাচ্ছে না মিটফোর্ড
জটিল রোগে আক্রান্ত বিশেষ করে কিডনি, ক্যান্সারসহ বেশ কয়েকটি রোগের জন্য ডায়ালাইসিস অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অনেক রোগী টাকার অভাবে ঠিকমতো ডায়ালাইসিস করতে পারে না। যে কারণে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়। বাইরে এক একটা ডায়ালাইসিস করতে যে টাকা খরচ হয় তা মেটানোর সাধ্য কম মানুষেরই থাকে।
তবে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯টি ডায়ালাইসিস মেশিন থাকলেও রোগীর অভাবে ঠিকমতো সেই মেশিন চলছে না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭৫ জন রোগীকে ডায়লাইসিস করার সক্ষমতা আছে বলে জানা গেছে। সেখানে গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগী পাওয়া যাচ্ছে। যেকারণে মেশিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসাপাতালের এক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিচালক পর্যায়ের ওই কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আমাদের এখানে ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে ২৯টি। প্রতিদিন ৭৫ জন রোগীকে ডায়ালাইসিস করতে পারি। সেখানে রোগী পাচ্ছি মাত্র ৩০-৩৫ জন। এখানে ছয় মাস ডায়ালাইসিস করাতে খরচ পড়ে মাত্র ১৪ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে একজন রোগীর সপ্তাহে দুটি করে ডায়ালাইসিস করাতে হলে মাসে ৮টি ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়, তাতেও রোগীকে গুণতে হবে ১৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ ৬ মাসের মধ্যে যতগুলো ডায়লাইসিস লাগে, তার সবগুলোই ১৪ হাজার টাকার মধ্যেই করতে পারবেন।
তিনি জানান, ডায়ালাইসিস করার জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকলেও রোগীর অভাবে সবগুলো মেশিন চালাতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এজন্য তিনি বেশি করে প্রচার করার অনুরোধ করেন।
তা ছাড়া স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নতুন ডায়ালাইসিস সেন্টার, প্যাথলজি ও অন্যান্য পরীক্ষাগারে সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকলেও শুধু প্রচারের অভাবে সেখানে রোগীর সংখ্যা অনেক কম।
তবে এবিষয়ে কথা বলতে চাননি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশীদ উন নবী। তিনি বলেন, এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বললে ভালো তথ্য পাবেন।
এসএম/এসএন