মিটফোর্ড হাসপাতাল নিয়ে রোগীদের যত অভিযোগ
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে রোগী নিয়ে বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন মিটফোর্ড হাসপাতালে সেবা-নেওয়া রোগীও তার স্বজনেরা।
রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না। টেস্টের জন্য চিকিৎসকরা বাইরের ক্লিনিকগুলোতে পাঠায়। অবশ্য এসব বিষয় নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু কিছু টেস্ট বাইরে থেকে করতে হয় এবং কিছু কিছু ওষুধ ও বাইরে থেকে কিনতে হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন প্রতিবেদন করতে গেলে এমন অভিযোগ করেন রোগীও তার স্বজনেরা।
আজিমপুর থেকে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন আসমা বেগম। এ সময় আসমা বেগম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে ওষুধ দেওয়ার কথা, কিন্তু ওষুধ না দিয়ে তারা আমাদের বাইরে থেকে কিনতে বলেন। হাসপাতাল থেকে শুধু গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দেওয়া হয়। ওষুধ কেনায় অনেক টাকা খরচ হয়। তাহলে তো প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী দেখানো ভালোই।
বংশাল থেকে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন আফজাল হোসেন। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘রোগী দেখানোর আগে ডাক্তাররা বিভিন্ন টেস্ট দেয়, সেই টেস্টগুলো বাইরের ক্লিনিক থেকে করতে হয় যার কারণে অতিরিক্ত টাকা খরচ হয় এবং নানান ভোগান্তির শিকার হতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘সঠিক মতো ডাক্তাররা রোগী দেখতে চায় না। রোগী দেখানোর জন্য ডাক্তারদের কাছে চলে যেতে হয়।’
চকবাজার থেকে আসা জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়ে লাবনী আক্তার বলেন, ‘মিটফোর্ড হাসপাতাল আর আগের মতো নাই ভোগান্তির আরেক নাম মিটফোর্ড হাসপাতাল। এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে, সঠিক মতো ডাক্তার পাওয়া যায় না, ওষুধ পাওয়া যায় না। নার্স, ওয়ার্ড বয়দেরও রোগীরা কাছে পায় না।’
জয়নাল ও সালমা নামের এক দম্পতি বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন চুরি হয়। আজও একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এসব মোবাইল চুরি হচ্ছে বা বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিটফোর্ড হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করা আনসার (পিসি) কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রতিদিন প্রায় হাসপাতালে চুরি হচ্ছে। সিসিটিভি থাকার পরেও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি চুরি করে এতে আমাদের কিছু করার নেই। অনেক সময় চোরেরা রোগী সেজে এসব চুরির ঘটনা ঘটায়। আমরা এ পর্যন্ত অনেক চোরদের আটক করে সংশ্লিষ্ট হস্তান্তর করেছি।’
কেএম/এমএমএ/