বিশ্বে করোনায় আরও মৃত্যু ৮৮৯, শনাক্ত ৩ লাখ
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে আরও ৮৮৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। একইসময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৯ জন।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৫ লাখ চার হাজার ৭২৮ জনে। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৪ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া ও ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন ও ইতালি।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ পাঁচ হাজার ১০ জন এবং মারা গেছেন ২২৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪১ হাজার ৫৪ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ৪৮০ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত নয় কোটি ৬৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৭২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৭২ হাজার ৯৭৮ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন সাত হাজার ৬৬৮ জন। ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৪৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৫ জন এবং মারা গেছেন ২৪ জন। ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬০৮ জন এবং মারা গেছেন ৪০ জন। তাইওয়ানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ১০৩ জন। রাশিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ হাজার ৬৯০ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২০ জন এবং মারা গেছেন ১১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
আরএ/