বিশ্বে করোনায় প্রাণ হারালেন আরও ১১৫০ জন
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে চার লাখ ৩৯ হাজার ৪৭০ জন।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এনিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ২ হাজার ৪৬৬ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৯৮ লাখ ৭ হাজার ৬০২ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও ফিলিপাইন।
জাপানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৪২৫ জন এবং মারা গেছেন ৩৪৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৯২ লাখ ২৮ হাজার ৮২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪০ হাজার ৫৪৫ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৭৬৫ জন এবং মারা গেছেন ৭৪ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৬৬ লাখ ১৬ হাজার ৫০৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৭২ হাজার ৯৩০ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৬২৩ জন এবং মারা গেছেন ৭৪ জন। ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ৮০ জন। ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৯৭ জন। ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৬৬০ জন এবং মারা গেছেন ৪৮ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯২ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫১ হাজার ৬৯৯ জন। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৬৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৪২ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
আরএ/