বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাওয়া গেল ‘কালো কেউটে’
লেখা ও ছবি : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বঙ্গবন্ধু হল’র অফিস রুমের পাশে একটি গর্ত থেকে একটি বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর সকালে সাপটিকে হলের দেয়ালে ওপরে ওঠার সময় একজন কর্মচারী দেখতে পান।
এরপর তারা সবাই মিলে নেট দিয়ে বেষ্টনী দিয়ে রাখেন।
এর মধ্যে সাপটি সেখানে থাকে।
শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে গেলে দুপুর ৩টায় অভিজ্ঞ ও দক্ষ সাপুড়েদের খবর দিয়ে আনা হয়।
তারা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
সাপের পাশাপাশি এসময় এক ডজন সাপের ডিমও উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত সাপটি ‘কেউটে’ বা ‘কাল কেউটে বলে জানিয়েছেন উপস্থিত উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র, ছাত্রীরা। বাংলাদেশে পরিচিত নামের সাপ।
এই দেশে যে কটি সাপের ছোবলে মানুষের মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হয়, সাপটি অন্যতম। দুর্লভ ও অত্যন্ত বিষাক্ত প্রজাতির এই সাপ স্বভাবে শান্ত। লুকিয়ে থাকতে ভালোবাসে। কোথাও শঙ্খিনী, কোথাও কাল নাগ, কোথাও কালাচ, বরিশালের মানুষের কাছে কালাঞ্জিরি, চট্টগ্রামে হানাস নামে পরিচিত।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীরা জানিয়েছেন, নদীমাতৃক এই অঞ্চলে প্রচুর সাপ আছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে বিষাক্ত সাপের হাত থেকে মানুষকে দংশনে বাঁচানোর জন্য কোন ‘অ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন’ এখনো নেই।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আরিফ হোসেন বলেছেন সাপের আরো লক্ষণ, ‘কালো কেউটেটি মাটির নিচে ছিল।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম. ছাদেকুল আরেফিন তার ক্যাম্পাসের ভেতরে কালো কেউটে পাওয়া যাওয়ায় চমকে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনাটি জানার পর, পরই আমি হল প্রভোস্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামীকাল থেকেই সব হলের আশপাশ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করা হবে।’
‘অ্যান্টিভেনম’ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে অ্যান্টিভেনম রাখার ব্যবস্থা যেন দ্রুত নেওয়া হয়, সেজন্য আমি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলব।’
ওএফএস।