দৈনিক মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, শনাক্তে জাপান শীর্ষে
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৫৫৮ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৪৩ হাজার ৬০১ জন। বিশ্বে দৈনিক মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও শনাক্তে জাপান শীর্ষে রয়েছে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জাপান, ব্রাজিল, ইতালি রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৯০৭ জন এবং মারা গেছেন ২৪৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৮৬ লাখ ৩২ হাজার ৪২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৯ হাজার ২৫৩ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৯০৬ জন এবং মারা গেছেন ২৫১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৬১ লাখ ৪৯ হাজার ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪৮ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৫১৯ জন এবং মারা গেছেন ৭১ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ১৯৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৮০৬ জন। ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৩৫৮ জন এবং মারা গেছেন ৭২ জন। ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৮০৭ জন এবং মারা গেছেন ৯৮ জন। তাইওয়ানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৭ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩১ হাজার ৪৮৮ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৭ জন। ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৭২ জন এবং মারা গেছেন ৫৩ জন। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৮১ জন এবং মারা গেছেন ৭৫ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯৪ জন এবং মারা গেছেন ২৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
আরএ/