বিশ্বে আরও ৮৯৭ মৃত্যু, শনাক্ত সাড়ে ৫ লাখ
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৯৭ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬১ জন।
সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এনিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৪ লাখ ৭১ হাজার ৮৫১ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬০ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার ১০ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, ইতালি, ইরান ও ফিলিপাইন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৯০ জন এবং মারা গেছেন ২৬৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৯ লাখ ২১ হাজার ৬৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৬ হাজার ৭৮০ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৭ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৬৯ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৫৮৭ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২৬০ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮২০ জন। ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৪৯ জন।
এছাড়া ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭০ জন এবং মারা গেছেন ৬৩ জন। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ১৩২ জন এবং মারা গেছেন ৬৯ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৬ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২২ হাজার ৩৯৭ জন। ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৪৫ জন এবং মারা গেছেন ৫৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
আরএ/