করোনায় আরও ১৯০৩ মৃত্যু, শনাক্ত প্রায় সাড়ে ৭ লাখ
সারাবিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও এক হাজার ৯০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে সাত লাখ ৩৭ হাজার ১৫৮ জন।
শনিবার (২০ আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এনিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৪ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯৭ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৯৬ হাজার ২২৭ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জাপান, ব্রাজিল, ইতালি, চিলি ও দক্ষিণ কোরিয়া।
জাপানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৬১ হাজার ২৫২ জন এবং মারা গেছেন ২৭৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার ৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৬ হাজার ২৩৪ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৫৪৫ জন এবং মারা গেছেন ৩২৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত নয় কোটি ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৬৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৬৫ হাজার ৫১২ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৩৮ হাজার ৭৪১ জন এবং মারা গেছেন ৮৩ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ১৮১ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৬৩ জন। ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ২৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৭৪ জন। পোল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮১৯ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৬৮৯ জন এবং মারা গেছেন ১২৪ জন। তাইওয়ানে নতুন করে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩২ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ২২ হাজার ৮১৯ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৫ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৬০৯ জন। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৯৪৯ জন এবং মারা গেছেন ৭২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
আরএ/