জাপান দৈনিক শনাক্ত-মৃত্যুতে শীর্ষে
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৯৪৮ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন চার লাখ ৯৫ হাজার ৪৮০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এনিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৪ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৬ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৯ কোটি ৫১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩০ জনে।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরান। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ইতালি, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো ও রাশিয়া।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৬৬ হাজার ৬১১ জন এবং মারা গেছেন ২৩৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৫৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৫ হাজার একজন মারা গেছেন।
ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ছয় হাজার ৭৫৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন কোটি ৪১ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ২১৫ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৪৬ লাখ ৮৮ হাজার ১৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৬২ হাজার ৩৪৩ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৪৭ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৬০৩ জন এবং মারা গেছেন ৫৭ জন। ইতালিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪৫৫ জন এবং মারা গেছেন ৭৮ জন। তাইওয়ানে আরও মারা গেছেন ২২ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২১ হাজার ৯২ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৮ হাজার ৯৮২ জন। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৬৬৭ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
আরএ/