শিশুদের করোনা টিকা শুরু হচ্ছে ১১ আগস্ট
দেশের ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে ১১ আগস্ট থেকে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর এ মাসের শেষ সপ্তাহে এ বয়সী শিশুদের গণহারে টিকা দেওয়া অভিযান শুরু হবে।
রবিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) ‘মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
করোনা প্রতিরোধে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষ টিকা দেশে আসে গত ৩০ জুলাই। ওই দিন বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা এসেছে। সরকার গত এপ্রিল মাসেই ৫-১১ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দেশে এই বয়সী শিশুদের সংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লাখ। তাদের দেওয়ার জন্য ৪ কোটি ১০ লাখ টিকার নিশ্চয়তা স্বাস্থ্য বিভাগ পেয়েছে। শিশুদের দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে। এজন্য টিকার প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ৮০ লাখ ডোজ। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় বাংলাদেশ এই টিকা পেয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, এখন যারা করোনায় মারা যাচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগ করোনার টিকা নেননি বা করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেননি।
এখন পর্যন্ত দেশে ২০ লাখ ৭ হাজার ১১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৭ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৯ হাজার ৩০৪ জন। দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনার সংক্রমণের চিত্র কয়েক দফা ওঠানামা করতে দেখা গেছে।
করোনা টিকার পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাতে যে টিকা আছে, সেগুলোর মেয়াদ তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাবে। তাই যারা টিকা নেননি তারা প্রথম ডোজ, যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা দ্বিতীয় ডোজ এবং যারা বুস্টার নেননি তারা বুস্টার নিয়ে নিন।’
স্বাস্থ্য বিভাগ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে। তারপরও ১২ বছরের বেশি বয়সী ৩৩ লাখ মানুষ এখনো প্রথম ডোজ টিকা নেননি। এ ছাড়া প্রথম ডোজ পাওয়া ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ করোনার টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭১ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে। আর ২৩ শতাংশ পেয়েছে বুস্টার ডোজ।
এসএম/এসজি/