দৈনিক সংক্রমণে জাপান, মৃত্যুতে ব্রাজিল শীর্ষে
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে আরও এক হাজার ১৫৪ জন মারা গেছেন। একই সময়ে আরও শনাক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৫৫৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল।
রবিবার (৩১ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এনিয়ে বিশ্বজুড়ে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৪ লাখ ১৮ হাজার ৭৫১ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন মোট ৫৮ কোটি ১৪ লাখ ৫৮ হাজার ২২১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণহানির তালিকায় ব্রাজিলের পরই রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইতালি, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড ও তাইওয়ান।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ২১ হাজার ৯৩৮ জন এবং মারা গেছেন ১৩০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩২ হাজার ৪১৬ জন মারা গেছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে থাকা ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬২ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ২৫৯ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ৪৫১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৫৩৭ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৬৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন। ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ২৭৪ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৯৪৪ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৭১ জন এবং মারা গেছেন ১২১ জন। মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ২৪৮ জন এবং মারা গেছেন ৭৯ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬০ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২১ হাজার ৫০১ জন। ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার ৫০৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৩ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ২৪৮ জন। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ১৫৭ জন এবং মারা গেছেন ১৩৫ জন। থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৬২ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১৮৮ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
আরএ/