বিশ্বে করোনায় আরও ১৬৬৬ মৃত্যু
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক হাজার ৬৬৬ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আট লাখ ২৩ হাজার ৩০৮ জন।
বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।
এনিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৪ লাখ ছয় হাজার ৯১৪ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৭ কোটি ৬৮ লাখ ৩২ হাজার ২৬০ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ১১ জন এবং মারা গেছেন ৫৫ জন।
ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৫০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৪৩ জন। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ১১ জন এবং মারা গেছেন ৩০১ জন। ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ হাজার ৫৬২ জন এবং মারা গেছেন ১১৯ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯ হাজার ২৬৮ জন এবং মারা গেছেন ১৭ জন।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ২২১ জন এবং মারা গেছেন ২৫৩ জন। মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৩১ জন এবং মারা গেছেন ২০ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৭ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ হাজার ৭১ জন। ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ১৮৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ২০৯ জন এবং মারা গেছেন ১০০ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮২৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৩৩ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
আরএ/