বিশ্বে করোনায় আরও ১০২৯ মৃত্যু
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক হাজার ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে সাত লাখ চার হাজার ৮১৩ জন।
রবিবার (২৪ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৪ লাখ ২ হাজার ১৭৩ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৩১৯ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯৬ হাজার ২৯৭ জন এবং ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৭৯৯ জন মারা গেছেন এবং এক কোটি নয় লাখ ৮১ হাজার ৮০২ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে থাকা ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫৩ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৬ হাজার সাত জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন কোটি ৩৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৩৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭৯ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৪৯৭ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ২১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৫১ হাজার ৯৭৯ জন মারা গেছেন।
ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৫৩২ জন। ইতালিতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৭১০ জন এবং মারা গেছেন ১১৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ছয় লাখ আট হাজার ১৯০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক লাখ ৭০ হাজার ৭৯৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ১৭৫ জন এবং মারা গেছেন ৮৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানে করোনায় মারা গেছেন ৫৩ জন এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৫৯৫ জন। ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯২১ জন এবং মারা গেছেন ২৬ জন।
রাশিয়ায় আরও মারা গেছেন ৩৮ জন এবং নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৯৫৩ জন। নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৭২ জন এবং মারা গেছেন ২১ জন।
অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে আরও ৪৪ হাজার ৮৯০ জন শনাক্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১০২ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৭৮ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ৯৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৪০ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
আরএ/