'৪৫ হাজার কোটি টাকার করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে'
করোনা অতিমারি নিয়ন্ত্রণে দেশের মানুষকে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের অর্থায়নে টিকা দিয়েছি প্রায় ১৭ হাজার কোটি ডোজ। সব মিলিয়ে টিকা দিতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা লেগেছে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে। আর বিদেশ থেকে আমরা ১০ কোটি টিকা বিনামূল্যে পেয়েছি। সেগুলোর দাম প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার টিকা দিতে হয়েছে। এটাও দেশের অর্জন, প্রধানমন্ত্রীর অর্জন। কোনো দেশ ১০ কোটি টিকা পায় নাই যেটা বাংলাদেশ পেয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট পাসের আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের ওপর আনিত মঞ্জুরি দাবির আলোচনায় বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা টেকনেশিয়ান নেওয়ার চেষ্টা করেছি। সেখানে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা সেই নিয়োগ বাতিল করেছি। সমস্যা থাকলে বাতিল করে দিই। আমি কোথাও ছাড় দেইনি।’
তিনি বলেন, ‘যেসব হাসপাতাল-ক্লিনিকের মান সঠিক নয়, সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। এরই মধ্যে আমরা তিন হাজার হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ করেছি, প্রয়োজন হলে আরও বন্ধ করব, যদি মানসম্পন্ন না হয়। যারা ভুয়া মেডিসিন তৈরি করছিল এ ধরণের ২০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিয়েছি। এটা চলমান প্রক্রিয়া।’
করোনা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবসময় বলেছি আপনারা সতর্ক হন। এখন করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল কিছু নির্দেশনাও দিয়েছি। দেশের স্বাস্থ্যসেবা এখন অনেক এগিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘শিশুদের টিকার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। ৫-১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডব্লিউএইচও থেকে টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং সেটা আমার শিশুদের দেওয়ার ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি। জুলাইয়ের শেষের দিকে শিশুদের টিকা দিতে সক্ষম হব।’
এসএম/এসজি/