বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নবজাতকের থাইরয়েড অভাবজনিত রোগ নির্ণয়ে প্রশিক্ষণ

নবজাতকের জন্মগত থাইরয়েড হরমোনের অভাবজনিত রোগ অথবা জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম নবজাতক শিশুর জন্য একটি সংকটজনক অবস্থা। যা জন্মের প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শনাক্ত করে চিকিৎসা করা না হলে শিশুটি স্থায়ীভাবে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীতে পরিণত হয়। শিশুর জন্মের ৪ সপ্তাহের মধ্যে জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম নির্ণয় ও চিকিৎসা শুরু করা গেলে তাকে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধিতার অভিশাপ থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

'ড্রাইড ব্লাড স্পট (ডিবিএস) পদ্ধতিতে নবজাতকের রক্তের নমুনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও জন্মগত থাইরয়েড হরমোনের অভাবজনিত রোগ নির্ণয়' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে এসব বলেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেসের (ইনমাস) অডিটোরিয়ামে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

ইনমাসের পরিচালক প্রফেসর ডা. জেসমিন আরা হকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের (বাপশক) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সানোয়ার হোসেনের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনের কারণে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাপশকের সদস্য (জীববিজ্ঞান) প্রফেসর ডা. অশোক কুমার পাল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মাদ আনোয়ার-উল-আজিম।

দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নবজাতকের ডিবিএস পদ্ধতিতে রক্তের নমুনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও জন্মগত থাইরয়েড হরমোনের অভাবজনিত রোগ নির্ণয় পদ্ধতি সম্পর্কে উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে জন্মের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর নাড়ী অথবা জন্মের ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে শিশুর পায়ের গোড়ালি থেকে কয়েক ফোটা রক্ত নিয়ে তা বিশেষ পদ্ধতিতে ফিল্টার পেপারে সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীকালে তা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে জানা যায় তার জন্মগত হাইপোথাইরয়েড রোগ আছে কি না?

বাপশক সদস্য (জীববিজ্ঞান) প্রফেসর ডা. অশোক কুমার পাল জানান, চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে নবজাতকের রক্ত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম শনাক্তকরণের লক্ষ্যে সমগ্র দেশব্যাপী ডিবিএস পদ্ধতিতে নবজাতক শিশুর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম শনাক্তকরণের বিশেষায়িত গবেষণাগার নির্মাণ ছাড়াও নবজাতক শিশুর এ রোগ শনাক্তকরণ বিষয়ে জন সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে। এ ছাড়া জন্মগত রোগ শনাক্তকরণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স, হেলথ টেকনোলজিস্ট, প্যারাম্যাডিকস, স্বাস্থ্যকর্মী এবং এনজিও কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজমের প্রাদুর্ভাব বিষয়ে অধিক পরিমাণ উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। যা পরবর্তীসময়ে জন্মগত এ রোগ শনাক্তকরণ বিষয়ে জাতীয় নীতি প্রণয়ন করতে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী মহল ও নীতি নির্ধারকদের জন্য সহায়ক হবে।

'নবজাতকের মধ্যে জন্মগত হাইপোথাইরয়েড রোগের প্রাদুর্ভাব শনাক্তকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়)' নামক উন্নয়ন প্রকল্প কর্তৃক গৃহীত এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মিটফোর্ড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আগত প্রায় ১১০ জন নার্স ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অংশগ্রহণ করেন।

টিটি/

Header Ad
Header Ad

নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন

রোবাইয়াত ফাতিমা তনি ও তার স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন। ছবি: সংগৃহীত

নারী উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন আর নেই। ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভোর ৩টা ৩ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তনি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। নিজের ফেসবুকে তনি লেখেন, "সে আর নাই। ব্যাংকক সময় রাত ৩.০৩ মিনিটে আমাকে সারাজীবনের মতো একা করে চলে গেছে।"

কয়েক মাস আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহাদাৎ। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিঙ্গাপুর ও পরে ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ সময় নিজের ফেসবুকে তনি জানিয়েছিলেন, "জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি। আমি কোনোভাবেই তাকে হারাতে চাই না। সব কিছু অনিশ্চিত জেনেও অনেক কষ্ট করে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংকক নিয়ে এসেছি। বাকি সব আল্লাহর ইচ্ছা।"

তনি তার ছেলের জন্য স্বামীর জীবন বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শাহাদাৎ হোসাইন আর ফিরে আসেননি।

শাহাদাৎ হোসাইন ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে তনির বৈবাহিক সম্পর্কের বয়সের ব্যবধান নিয়ে বিভিন্ন সময় কটাক্ষ করা হলেও তনি সবকিছুর সাহসিকতার সঙ্গে জবাব দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তনি ভালোবেসে শাহাদাৎকে বিয়ে করেন। শুরুতে পরিবারের আপত্তি থাকলেও পরে সব মিটমাট করে নেন তারা।

Header Ad
Header Ad

ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালীন অপরাধমূলক কার্যক্রম এবং বিতর্কিত ভূমিকার সঙ্গে জড়িত সবাইকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিদিন দু-একজন করে ধরা পড়ছেন। আজ মতিউর, ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে। তাকেও এতদিন ধরা যায়নি। অন্যদেরও ধরা হবে, আইনের আওতায় আনা হবে। সব তো এক দিনে ধরা যায় না। অনেকে লুকিয়ে আছে। খুঁজে খুঁজে একে একে তাদের সবাইকে ধরা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিতর্কিত ভূমিকার পরও কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং তাদের বদলি, পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে, অনেক নবীন পুলিশ সদস্য, যারা ট্রেনিং শেষ করেছেন, তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যারা বিতর্কিত ভূমিকা রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফুটেজ দেখে ধরা হচ্ছে। প্রতিদিন ২-১ জন করে ধরা পড়ছেন। যেমন আজ মতিউরকে ধরা হয়েছে। অনেকেই লুকিয়ে আছেন, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'অনেক বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা, কনস্টেবল থেকে শুরু করে ডিসি পর্যন্ত, যারা সরাসরি গুলি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে তথ্য-প্রমাণ মিললে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এরই মধ্যে কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। তবে ধরা পড়ার পরও এক ওসি পালিয়ে গেছেন।'

সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী কাজের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'পাশ্ববর্তী দেশের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আপনারা সঠিক ও স্বচ্ছ সাংবাদিকতা করেছেন। তবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানাই। বিতর্কিত পুলিশ সদস্যদের তালিকা থাকলে সেটি পুলিশের সদর দপ্তরে জমা দিন।'

Header Ad
Header Ad

দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৪৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি

দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৪৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৪'শ ৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত সোয়া নয়টায়  ভারতের গেঁদে বন্দর দিয়ে ৪২ ওয়াগনে রেলপথে এই চাল দর্শনা বন্দর ইয়ার্ডে পৌঁছে।

এসময় ভারতের রেলের পরিচালক স্বাগতম বালাকে ফুলে দিয়ে শুভেচ্ছা  জানান দর্শনা বন্দরের সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু।

এ চাল খালাসে নিযুক্ত সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট আতিয়ার রহমান হাবু জানান, ঢাকা পুরানা পল্টনের মেসার্স মজুমদার এগ্রোটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এ চাল আমদানি করেছে। প্রতিটন চালের ইনভয়েস মূল্য ৪৯০ ডলার। কলকাতার ৭/১ লর্ড সিনহা রোডের সৌভিক এক্সপোর্ট লিমিটেড এ চাল রপ্তানি  করেছে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হক জানান, কাস্টমস পরীক্ষণ ও শুল্কায়নের পর এ চাল ঈশ্বরদী ও সিরাজগঞ্জে বুকিং হবে। সেখান থেকে ট্রাকযোগে আমদানিকারক চাল পরিবহন করবেন।

উল্লেখ্য, ভারত থেকে ১ লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ সরকার। দর্শনা বন্দর দিয়ে মঙ্গলবার এ চালের প্রথম চালান দেশে ঢুকল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন
ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৪৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
সারজিস আলমসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দের বিষয়ে যা জানা গেল
মসজিদুল হারামের প্রসিদ্ধ গাইড শেখ মোস্তফা দাব্বাগ মারা গেছেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি রবিউল, সম্পাদক আবু জাফর
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, ৩ রিসোর্ট পুড়ে ছাই
এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল
পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ডিজেল কিনছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর কারাগারে
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইবি প্রশাসনের মামলা
‘ভুল ইংরেজি’ বলে ঢাকা মেডিকেলে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক
মিথিলার সঙ্গে দূরত্ব, প্রাক্তনকে বুকে নিয়ে সৃজিতের সেলফি
দক্ষিণ আফ্রিকার সোনার খনিতে মৃতদেহের ছড়াছড়ি: অন্তত ১০০ জনের প্রাণহানি