করোনা পরিস্থিতি/ শনাক্ত-মৃত্যুর শীর্ষে আবারও যুক্তরাষ্ট্র
বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজারের বেশি মানুষ। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পৌনে ৬ লাখ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৫৫ জন। আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে অর্ধশতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৮ জনে।
একই সময়ের মধ্যে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪৮০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দুই হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র আবারও শীর্ষে। দৈনিক শুধু প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে তাইওয়ান, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও ফ্রান্স। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৪ কোটি ২৩ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৩৬ হাজার।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯১ হাজার ৩৩ জন ও মারা গেছেন ৩০১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৭৭ লাখ ৪১ হাজার ৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৬২৩ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮৯ জন ও নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৭৬৯ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৬ লাখ ১১ হাজার ৭৬৯ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯৩ জনের।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৩ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৬৫ জন। এ ছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩০ লাখ ৭২ হাজার ৪৩২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৫৪৬ জনের।
জার্মানিতে এ সময়ের মধ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ২৯১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এ দেশে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজার ৮৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪০ হাজার ২৯২ জন মারা গেছেন। একই সময়ে কানাডায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫২৬ জন ও মারা গেছেন ৫৩ জন।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৯৫৪ জন ও মারা গেছেন ৪৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এ দেশে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯৯ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৪৭ জন মারা গেছেন। একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯০৩ জন ও মারা গেছেন ২৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৩০০ জন ও মারা গেছেন ৪৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এ দেশে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৯ হাজার ৪১১ জন মারা গেছেন। একই সময়ে উত্তর কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৯১০ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৬ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৭১৮ জন। এ ছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ২০৩ জনের।
ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৮৮৫ জন ও মারা গেছেন ৪৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এ দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৭ লাখ ৩৬ হাজার ৬৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৫৩ জন মারা গেছেন। একই সময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩০ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৪ জন ও মারা গেছেন ৫৭ জন। থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৬৩ জন ও মারা গেছেন ১৮ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৪৮ জন ও মারা গেছেন ১৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
এসএন