১১ মাসে ৪১ শতাংশ খরচ হলেও একমাসেই টার্গেট পূরণ হবে ৯০ শতাংশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করতে পারেনি মন্ত্রণালয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘১১ মাসে ৪১ শতাংশ খরচ হলেও বাকি এই একমাসেই আমাদের টার্গেট ফিলাপ হয়ে যাবে ৯০ শতাংশ।’
রবিবার (৫ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
একটি পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে রুমিন ফারহানা প্রশ্ন রেখে বলেন, গত ৩ জুন একটি পত্রিকার রিপোর্ট এসেছে বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করতে পারছেনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই বরাদ্দ ও ব্যয়ের অক্ষমতা ধারাবাহিকভাবে আছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত অর্থের মাত্র ৪১ শতাংশ বরাদ্দ ও ব্যয় করতে পেরেছে। বাকি এক মাসে ৫৯ শতাংশ বরাদ্দ ও ব্যয় করতে হবে। বরাদ্দ ও ব্যয় করতে পারছে না তার কারণ কী?
জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চলতি অর্থবছরের (২০২১-২০২২) বাজেট আছে সেটার উন্নয়ন বাজেট হলো ৯ হাজার কোটি। করোনার জন্য কিছু কাজ ব্যাহত হয়েছে। যার করণে প্রথম দিকে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষে কিছুটা পৌঁছতে পারিনি। কিন্তু আমরা যে কাজটি করেছি করোনাকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা টিকা ব্যবস্থা তাতে যতখানি আমরা খরচ করেছি ওই খাতে যতটুকু আমাদের শ্রম দিতে হয়েছে তার ভ্যালু প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নয় হাজার কোটি টাকা যেটা বরাদ্দ রয়েছে উন্নয়ন বাজেটে। সেই উন্নয়ন বাজেটের ৪১ শতাংশ খরচ করতে পেরেছি। তবে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই জুন ক্লোজিং এর মধ্যে ৯০ শতাংশ বেশি খরচ হয়ে যাবে। এটা অর্জন হয়ে যাবে। আমাদের টার্গেট অর্জন হয়ে যাবে ৯০ শতাংশের মতো। কারণ এখনো অনেক বিল আছে যে বিলগুলো পেমেন্ট হয় নাই। অনেকগুলোর মাল এখনো পৌঁছায়নি, যার কারণে বিলগুলো দেওয়া হয়নি। এই বিলগুলো জুন ক্লোজিং এর মধ্যে সব সেটেল হয়ে যাবে। ৯ হাজার কোটির মধ্যে ৯০ শতাংশ অর্জন হয়ে যাবে।’
অপরের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমরা সাড়ে ২৯ কোটি করোনা টিকা এনেছি। যার মধ্যে ২৬ কোটি ডোজ আমরা দিয়েছি। প্রথম ডোজ প্রায় ১৩ কোটি, দ্বিতীয় ডোজ প্রায় পৌনে ১২ কোটি এবং দেড় কোটি হল বুস্টার ডোজ। এখন বুষ্টার ডোজ চলছে। আমরা নিজেরা কিনেছি করেছি প্রায় ১৮ কোটি ডোজ, বাকিটা আমরা কোভ্যাক্স ফ্যাসালিটি থেকে পেয়েছি। সেগুলো আমরা বিনামূল্যে পেয়েছি।’
এসএম/এমএমএ/