টিকা ক্রয়ে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের ৫ম সফল দেশ হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছে এবং দক্ষিন এশিয়ায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে।
এই সাফল্য গোটা বিশ্বের পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাংকেরও নজর কেড়েছে। একদিনে সোয়া এক কোটি ডোজ টিকা দিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের সক্ষমতা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। এসব কারণে বিশ্বব্যাংক কোভিডের পরবর্তী ঢেউ মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভ্যাক্সিন ক্রয়ে বড় অংকের আর্থিক সহায়তা দেবার আশ্বাস দিয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের দুটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১০ মে) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যানমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের দুটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের দুটি পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘কোভিড সাফল্যের কারণে, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অন্যান্য জরুরি চিকিৎসা সেবা খাতেও সহযোগিতা করতে উৎসাহিত হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এই আর্থিক উদ্দিপনা নিঃসন্দেহে দেশের স্বাস্থ্যখাতের জন্য একটি বড় ইতিবাচক দিক হবে।’
জাহিদ মালেক জানান, বৈঠক দুটিতে বাংলাদেশের ৪র্থ স্বাস্থ্য জনসংখ্যা পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি বাস্তবায়নে অগ্রগতি, ৫ম স্বাস্থ্য জনসংখ্যা পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহন, কোভিড মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া টিকা ক্রয়ে বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়িত অর্থের বিপরীতে ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রিএমনার্স করার আশ্বাস দিয়েছে।
বৈঠকে চলমান ৪র্থ এইচপিএনএসপি এর বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই বৈঠকে ৫ম স্বাস্থ্য জনসংখ্যা পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এই খাতের বিশ্বব্যাংকের নিকট হতে কমবেশি এক বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহযোগিতার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ঢাকায় সাউথ এশিয়া অঞ্চলের রিজিওনাল সার্ভিলেন্স সেন্টার স্থাপন বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রথম সভায় বিশ্বব্যাংকের হেলথ পপুলেশন ও নিউট্রিশন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মমতা মূর্তি’র নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে।
অপর সভা হয় বিশ্বব্যাংকের মানব উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক জন পাবলো’র সঙ্গে।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দক্ষিন এশিয়া অঞ্চলের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মো. শফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম এনায়েত হোসেন, যুগ্নসচিব আব্দুস ছালাম খানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এনএইচবি/এমএমএ/