ঢামেকে ওষুধ চুরি সিন্ডিকেট সদস্য আটক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রোগীদের অস্ত্রোপচার কাজে ব্যবহৃত সুতা ও ওষুধ চুরি সিন্ডিকেটের আব্দুল হাকিম (৪০) নামের এক সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আটক ব্যক্তি ঢামেক হাসপাতালে অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি করেন।
দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল হাকিম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সুতা ও ওষুধ পাচার করে আসছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। রবিবার (৮ মে) বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের বাগান গেট থেকে কালো ব্যাগ ভর্তি সুতাসহ আব্দুল হাকিমকে আটক করা হয়। পরে তাকে র্যাব-৩ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হাকিম হাসপাতালের ২১৪ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে কাজ করেন। তিনি ঢামেক হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতির সমাজকল্যাণ ও ধর্মবিষয়ক সম্পাদক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘হাসপাতালের এক কর্মচারীকে সুতার প্যাকেটসহ আটক করেছে র্যাব। ওই সুতা রোগীদের অপারেশনের পর সেলাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হতো। তারা একটি সিন্ডিকেট করে হাসপাতাল থেকে রোগীদের বরাদ্দ সুতা ও ওষুধসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র টাকার বিনিময়ে বাইরে পাচার করে দেয়।এর আগেও আমাদের নিজস্ব উদ্যেগে অনেককেই ধরে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।’
পরিচালক আরও বলেন, ‘এসব বেআইনি কাজ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা চাই হাসপাতাল অপরাধমুক্ত। কিছু মুষ্টিমেয় লোক এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমরাও এ বিষয়ে সচেতন আছি।’
র্যাব-৩-এর সিইও লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতালে রোগীদের জন্য ব্যবহৃত ২৪বক্স সুতাসহ এক হাকিম নামের এক কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য আড়াই লাখ টাকা। হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে কালো একটি ব্যাগে করে ওই সুতা বাইরে নিয়ে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরপর হাসপাতাল কতৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা করবেন।’
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শিপন মিয়া বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের নেতা হাসপাতাল থেকে সুতা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সংগঠনের অন্যান্য নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে মিটিংও ডাকা হয়েছে। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও জানান, আটক হাকিমের ছোট ভাই আব্দুল হান্নান হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের মাদক বেচাকেনা করে। এমন কি রোগীদের মালামাল চুরি করে। তাকে কয়েক বার ধরে পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মিলে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার সুতা ও ওষুধ বাইরে পাচার করছে।
এএইচ/এসএ/