শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেশে তিন মাসে ৬ বার ভূমিকম্প, কতটুকু দুশ্চিন্তার

ছবি সংগৃহিত

সোমবার সন্ধ্যার ভূমিমকম্পসহ গত তিন মাসে দেশে ছয়টি ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরেই হয়েছে তিনটি। দুটি হয়েছে আগস্ট মাসে। তবে ছয়টি ভূমিকম্পের মধ্যে দুটিরই উৎসস্থল ছিল ডাউকি চ্যুতিতে। বাংলাদেশের মাটির নিচে ভূমিকম্পের দুটি বড় উৎস আছে। তার মধ্যে ডাউকি চ্যুতি একটি। আর এখানে একের পর এক ভূমিকম্প হচ্ছে কয়েক বছর ধরেই।

গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনবার দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৫৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে টাঙ্গাইলে।

এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত। এ ছাড়া ৯ সেপ্টেম্বর আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসামের কাছাড় এলাকা।

আগস্ট মাসে দুই দফায় বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে একটি অনুভূত হয় ২৯ আগস্ট। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট। এর আগে ১৪ আগস্ট আরেকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী সিলেটের কানাইঘাট এলাকায়। আগস্টের দুই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ডাউকি চ্যুতির মধ্যে ছিল।

ডাউকি চ্যুতিতে ছোট ছোট এসব ভূমিকম্পের ফল কী হতে পারে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ আছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রিজেলিয়ান্স বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে বেশির ভাগ ভূমিকম্পের উৎসস্থল ডাউকি আজকের ভূমিকম্পের উৎস্থল ছিল না। আজকের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ১৮৯৭ সালে মেঘালয়ের সেই বড় ভূমিকম্প যেখানে হয়েছিল, সেখানেই। ১৮৯৭ সালে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৩। এরপর এ অঞ্চলে আর বড় ভূমিকম্প হয়নি।

ডাউকি ছাড়া দেশের ভূমিকম্পের আরেকটি উৎস হলো সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ভূ-অভ্যন্তরে বিস্তৃত একটি সাবডাকশন অঞ্চল। এটি এমন অঞ্চল, যেখানে একটি ভিত্তিস্তরের (টেকটোনিক প্লেট) নিচে আরেকটি ভিত্তিস্তর তলিয়ে যেতে থাকে। এই অঞ্চলজুড়ে সক্রিয় মূল চ্যুতির অনেকগুলো শাখা রয়েছে।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডাউকি চ্যুতি লম্বায় ৩০০ কিলোমিটার। গবেষণায় দেখা গেছে, এখানে একটি বড় ভূমিকম্পের সঙ্গে আরেকটি ভূমিকম্পের মধ্যকার ব্যবধান প্রায় সাড়ে ৩০০ বছর। সে অনুযায়ী ডাউকি চ্যুতি হয়তো এখনো আমাদের জন্য হুমকি নয়। যদিও এ নিয়ে মতভেদ আছে।’

ডাউকি চ্যুতিতে একের পর এক ছোট ভূমিকম্প কিসের ইঙ্গিত দেয়? এর দুটো ব্যাখ্যা আছে। একদল বিজ্ঞানী মনে করেন, ছোট ছোট ভূমিকম্প হওয়ার অর্থ হলো এই চ্যুতিতে সঞ্চিত বিপুল শক্তি ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। তাই বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা কম।

আবার আরেক দল মনে করেন, ছোট ছোট এই ভূমিকম্পের মাধ্যমে আসলে সংশ্লিষ্ট কাছের চ্যুতি (সিস্টার ফল্ট) বা ভাসমান ফাটলরেখা দিয়ে শক্তি চলে যাচ্ছে। মূল ফাটলরেখার শক্তি অটুট থাকছে। তার অর্থ এই নয় যে মূল ফাটলরেখার শক্তি কমে যাচ্ছে।

অধ্যাপক মাকসুদ কামল বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় ধারার বিশেষজ্ঞদের পক্ষে।’

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ডাউকি চ্যুতি হলো একটি সক্রিয় ফাটলরেখা। এটি দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। এর দক্ষিণ–পূর্ব প্রান্তে পড়েছে বাংলাদেশ। পশ্চিমে ভারতের মেঘালয় ও আসাম। দেখা গেছে, এই চ্যুতির পশ্চিম প্রান্তেই বড় ভূমিকম্পগুলো হয়েছে এযাবৎ। আর দুটি বড় ভূমিকম্পের মধ্যকার যে সাড়ে ৩০০ বছরের ব্যবধানের হিসাব করা হয়, তা কিন্তু পশ্চিম প্রান্তের বড় ভূমিকম্প ধরেই। আসলে পূর্বে ১৯৫০ সালের পর আর বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। তখন রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৬।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ডাউকি চ্যুতির দক্ষিণ–পূর্বাংশ বাংলাদেশ বা এর কাছাকাছি এলাকায় বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

 

 

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক