বিশ্বে বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান ১১তম
ফাইল ছবি
দেশে বায়ুমানের উন্নত হলেও আবার তাপপ্রবাহ বাড়ার কারণে উঠা নামার মধ্যে রয়েছে এর মান। বেশ কয়েক বছর ধরেই তীব্র বায়ুদূষণের শিকার বিশ্বের বেশ কিছু বড় বড় শহর এবং ছোট ছোট শহর এবং রাজধানীও। সেক্ষেত্রে রাজধানী ঢাকার বায়ুমানেও নেই কোনো স্বস্তির খবর।
বৃষ্টির কারণে ঢাকার বায়ুমানে কিছুটা উন্নতি। রাজধানীর বায়ু আজ সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে পাকিস্তানের লাহোর। তবে দূষণ মাত্রার দিক থেকে রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১১তম। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা লাহোরের বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ১৯৮ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর। শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৬৭ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর।
সূচকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি এবং শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৬৪। অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর।
আইকিউএয়ার সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান। তারা নিয়মিত দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে।
বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
দূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১১তম। রাজধানী ঢাকার দূষণমাত্রার স্কোর হচ্ছে ১০৩। এর অর্থ দাঁড়ায় সেখানকার বায়ুর মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে যাদের অ্যাজমা, ফুসফুসজনিত কোনো রোগ আছে তাদের জন্য।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।