জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কাজলরেখা’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে নাটক ‘কাজলরেখা’। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ প্রথমবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা হিসেবে এই প্রযোজনা ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় থিয়েটার ল্যাব ৩, জহির রায়হান মিলনায়তনে পরিবেশিত হবে।
‘মৈমনসিংহ গীতিকা’য় সংকলিত ‘কাজলরেখা’ কাহিনি অবলম্বনে ‘কাজলরেখা’ রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন রুবাইয়াৎ আহমেদ।
এতে অভিনয় করবেন ইন্দ্রানী, কুমু, লগ্ন, মনিকা, তানিয়া, উজমা, রাখি, আনিকা, সেলিম, আমিন, সাদমান, আবুযর, স্নেহাশীষ, সুপ্তি, আকাশ, অদিতি, ফারিয়া, শীলা, উর্মি, শ্রাবণী, জয়, নেওয়াজ, হিমা, নিলয়, ধ্রুব, মিশর, উজ্জ্বলসহ আরও অনেকে।
ভাটিয়াল মুলুকের সওদাগর ধনেশ্বর জুয়া খেলে সর্বস্বান্ত হয়। দুই সন্তান রত্নেশ্বর এবং কাজলরেখার জীবনে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। আর্থিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য ধনেশ্বর শুকপাখির পরামর্শে আংটি বিক্রি করে বাণিজ্যে যায়। বাণিজ্যে গিয়ে আবার ধন-সম্পদ উপার্জন করে ধনেশ্বর।
এরপর সে তার মেয়ে কাজলরেখার বিয়ের জন্য শুকপাখির পরামর্শ চায়। মনসার শাপে জীবন্মৃত বনবাসী সুঁচরাজার সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয় শুকপাখি। এই পরামর্শকে ভাগ্যের লিখন ভেবে মেয়েকে বনবাসে দিয়ে আসে ধনেশ্বর। শরীরে সুঁচবিদ্ধ অভিশপ্ত অর্ধমৃত এক রাজকুমারকে বাঁচাতে বনবাসে দিন কাটে সওদাগর-কন্যা কাজলরেখার। নিয়তি নির্ধারিত এই সুঁচরাজাই স্বামী ছিল তার। দীর্ঘদিন বহু কষ্ট সহ্য করে স্বামীকে সারিয়ে তোলে সে। তবে সুস্থ হয়ে রাজা নিজ স্ত্রীকেই মনে করে দাসী। স্বামীর প্রাসাদে ফিরে দাসী হয়েই থাকে সে, কেননা শুকপাখি ছাড়া নিজে পরিচয় প্রকাশ করলে মারা যাবে সূঁচরাজা। এ কারণে অশেষ কষ্ট ভোগ করেও গোপন রাখে নিজের পরিচয়। এভাবে এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী।
অভিনয় প্রশিক্ষক ফাহিম মালেক ইভান, পোশাক পরিকল্পনা খায়েরুজ্জামান মিতু, কোরিওগ্রাফি ইন্দ্রানী দেবনাথ, মামিন্তি হাসান কুমু, সেট-প্রপস আকাশ সরকার, আলোক পরিকল্পনা রাসেল ইসলাম।
এএম/এমএমএ/
