শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংগীত পরিচালক জে কে মজলিশের বিরুদ্ধে মামলা

অবৈধভাবে কনটেন্ট অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আপলোডের অভিযোগে সংগীত পরিচালক জে কে মজলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভি।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জে কে মজলিশের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় আরটিভির পক্ষে ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে মামলা দায়ের করেন আরটিভি’র নির্বাহী প্রযোজক নূর হোসেন হীরা।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়-আমি মোহাম্মদ নূর হোসেন হীরা (৪৩) নির্বাহী প্রযোজক (অনুষ্ঠান বিভাগ), বেঙ্গল মিডিয়া করপোরেশন লিমিটেড (আরটিভি)-এর পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে অত্র থানায় আসিয়া আসামি ১। জাকের খান মজলিশ (জে কে মজলিশ) (৪৫), আসামি ২। অজ্ঞাত, পিতা ও মাতা অজ্ঞাত, সাং-শেয়ারহোল্ডার/স্বত্বাধিকার-গান বাকশো মিউজিক, ৯৩, আজিজ ভবন (৮ তলা), মতিঝিল সি/এ, ঢাকা- ১০০০, আসামি ৩। জুয়েল ডি কস্তা (৩৫), পিতা ও মাতা অজ্ঞাত, সাং- কান্ট্রি ম্যানেজার, গান বাকশো মিউজিক, ৯৩, আজিজ ভবন (৮ তলা), মতিঝিল সি/এ, ঢাকা- ১০০০, মোবাইল: ০১৬৭৮-০০০১৭৯, আসামিদের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করেতেছি যে, ২০১৯ সালে বেঙ্গল মিডিয়া নিজস্ব অর্থায়নে ও কারিগরি সহযোগিতায় বাংলার প্রচলিত ও বিলুপ্তপ্রায় লোকসংগীতগুলো পর্যায়ক্রমে নতুনভাবে সংগীতায়োজন ও শুটিং করে ‘ফোক ষ্টেশন’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে প্রচার ও প্রসারের একটি প্রকল্প হাতে নেয়। উক্ত অনুষ্ঠানটি বেঙ্গল মিডিয়ার টিভি চ্যানেল ‘আরটিভি’-তে প্রচার শুরু হয় ১০/০৮/২০১৯ ইং তারিখ থেকে এবং ইউটিউব চ্যানেল ‘আরটিভি মিউজিক’-এ প্রচার হয় ২৭/০৮/২০১৯ ইং তারিখ থেকে। ফোক ষ্টেশন সিজন এক থেকে চার পর্যন্ত মোট ৫২টি পর্বে ৩১২টি লোকগানে নতুন করে সংগীত আয়োজনের জন্য ১নং আসামিকে হায়ার ফর বেসিস -এ নিয়োগ দেয়া হয়। ১নং আসামি ও তার মিউজিশিয়ান টিমের পেমেন্ট বাবদ পর্যায়ক্রমে নগদ মোট ৩০,৯৬,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার) টাকা মাত্র বেঙ্গল মিডিয়া ১ নং আসামিকে প্রদান করে। উল্লেখিত গানের সকল কন্ঠশিল্পীদের সম্মানী এবং অনুষাঙ্গিক অন্যান্য খরচ বেঙ্গল মিডিয়া বহন করেছে। উল্লেখ্য যে, ১নং আসামি উল্লেখিত ৫২ পর্বে ৩১২টি গান ‘ফোক ষ্টেশন’-এর ব্যানারে বেঙ্গল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার এবং পরিবেশনের জন্য সংগীত আয়োজক হিসেবে কাজ করতেন এবং সেই গানগুলোর গীতিকার, সুরকার বা কন্ঠশিল্পী ১নং আসামি নন বা কোনো প্রকারের কপিরাইট স্বত্ব বা অধিকার তার নাই। তিনি শুধুমাত্র সংগীত আয়োজক হিসেবে কাজ করতেন এবং তার বিনিময়ে উল্লেখিত পরিমান টাকা গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া বেঙ্গল কর্তৃক কপিরাইট রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত সিজন এক থেকে চার পর্যন্ত কন্ঠশিল্পী সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা’র কন্ঠে ‘নয়াবাড়ী’, ‘সখিগো আমার মন ভালা না’, কন্ঠশিল্পী অংকনের কন্ঠে ‘চেংড়া বন্ধুয়া’, কন্ঠশিল্পী অনন্যা আচার্য’র কন্ঠে ‘কলংকিনি রাধা’, ‘লাল পাহাড়ের দেশে যা’, কন্ঠশিল্পী সালমার কন্ঠে ‘মিলন হবে কতদিনে’, কন্ঠশিল্পী মৌমিতা তাশরিন নদীর কন্ঠে ‘মাটিরও পিঞ্জিরার মাঝে বন্দি হইয়ারে’ সহ বিভিন্ন কন্ঠশিল্পীর গাওয়া মোট ৩১২টি গানগুলো আসামিরা পরস্পর যোগসাযোগে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে বিশ্বের বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টাকা উপার্জনের জন্য ১নং আসামি গানগুলোর অডিও ক্লিপের কপি অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করতঃ চুরি করে নিজের কাছে রেখে দেয় এবং ‘ফোক ষ্টেশনের’ বিভিন্ন গানের ভিডিও থেকে অডিও আলাদা করে নিজের কাছে রেখে দেয়। পরবর্তীকালে, ১নং আসামী অসৎ উদ্দেশ্যে বেঙ্গল মিডিয়ার ‘আরটিভি’ এর ‘ফোক ষ্টেশন’ প্রোগ্রামের ১-৪ সিজনের গানগুলো ১নং আসামির গান বলে দাবি করেন এবং বেঙ্গল মিডিয়া কর্পোরেশন লিমিটেড ‘আরটিভি’-র অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে টাকা আয়ের জন্য ২ ও ৩ নং আসামীর ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউটর প্লাটটফর্ম ‘গানবাক্স মিউজিক’ এ উক্ত গানগুলো আপলোড করেন। তা ছাড়া আসামিরা মাল্টি চ্যানেল নেটওয়ার্ক (এমসিএস) প্রদানকারী কোম্পানি যার এর মাধ্যমে বেঙ্গল মিডিয়ার ফোক ষ্টেশনের গানগুলো বেঙ্গল মিডিয়ার অনুমতি ছাড়া প্রতারনার মাধ্যমে অবৈধভাবে টাকা আয়ের জন্য এবং বেঙ্গল মিডিয়া করপোরেশন লিমিটেড যাতে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টাকা আয় না করতে পারে সেই উদ্দেশে গানগুলো ২৬০ এর অধিক অডিও প্লাটটফর্ম-এ আপলোড করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, আসামীগণ ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড রেকডিং কোড ব্যবহার করে অনুমানিক ২০২২ সালের জুন মাসের আগে কোনো এক সময়ে উল্লেখিত গানগুলোর অডিও পর্যায়ক্রমে আপলোড করে এবং বেঙ্গল মিডিয়া এর অনলাইন প্লাটফর্ম-এ আপলোডকৃত গানগুলোর জন্য ১নং আসামী ইউটিউব কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি করেন যে উক্ত গানগুলোর স্বত্বাধিকারী তিনি এবং সে অনুযায়ী তিনি টাকা দাবি করেন। ফলে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বেঙ্গল মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে রেভিনিউ ক্লেইম করেছে। যার প্রায় ৩.৩১ মিলিয়ন সাবসক্রাইবার-এর প্রচারকৃত গানগুলো থেকে অর্জিত অর্থ প্রদান করা বন্ধ করে দেয় যার কারনে বেঙ্গল মিডিয়া বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, পক্ষান্তরে, ১নং আসামি বেঙ্গল মিডিয়া করপোরেশন লিমিটেড ‘আরটিভি’-র গানগুলো চুরি করে ২ নং ও ৩ নং আসামীর সাথে যোগসাজসে ২৬০ এর অধিক অডিও প্লাটফর্ম থেকে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করছে। এই তথ্য বেঙ্গল মিডিয়া অবগত হওয়ার পর ১৩/০৬/২০২২ অদ্যাবধি ১নং আসামিকে ডিজিটাল প্লাটফর্ম থেকে উক্ত গানগুলো অপসারনের জন্য অনুরোধ করা হয়। অধিকন্তু, আসামিদেরকে ৭ আগস্ট উক্ত বিষয়ে একখানা লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয় তা সত্বেও তারা গানগুলো অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণ করেন নাই এবং অনলাইন থেকে বেঙ্গল মিডিয়ার গান চুরি করে আপলোড করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং বেঙ্গল মিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল এর গান নিজের বলে দাবি করে বেঙ্গল মিডিয়ার বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে বিধায় আসামিরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও দন্ডবিধি আইনে অপরাধ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে সুরকার ও সংগীত পরিচালক জে কে মজলিশ বলেন, ’এটা আমার সৃষ্টি, আমি যেকোনো জায়গা প্রকাশ করা আমার অধিকার রয়েছে। তা ছাড়া, এ বিষয়ে আর টিভির সঙ্গেে আমার কোনো চুক্তিও হয়নি।’ 

এএম/এমএমএ/ 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত