বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে অপি করিম
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে অপি করিম। ছবি: সংগৃহীত
ছাত্ররাজনীতি নিয়ে কয়েকদিন ধরেই অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে-বিপক্ষে জোরালো মত জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
এবার বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে নিজের অবস্থান জানালেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিম। একইসঙ্গে সাবেক বুয়েটিয়ান হিসেবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির স্থাপত্য বিভাগের সাবেক এই শিক্ষার্থী। একইসঙ্গে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন তিনি।
অপি করিম তার ফেসবুকে লেখেন, বুয়েটের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং অ্যালামনাই হিসেবে আমি বুয়েটে সকল প্রকার ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে। বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমি একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং তাদের সফলতা কামনা করছি।
একইসঙ্গে ওই পোস্টের হ্যাশট্যাগে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী লেখেন, ‘নো স্টুডেন্ট পলিটিক্স ইন বুয়েট’।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ওই ঘটনায় করা মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, গত ২৭ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে কিছু নেতা-কর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আর আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করছেন। অন্যদিকে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালু করতে গত ৩১ মার্চ প্রতিবাদ সমাবেশ করে ছাত্রলীগ।
গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা ইমতিয়াজ রাব্বির করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের ওই সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।