চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আইনি বাধা নেই
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দেয়নি উচ্চ আদালত। তবে এই নির্বাচনে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া শিল্পীদের বক্তব্য শুনবে আদালত।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
রুলে আরও ৮৭ জন বাদ পড়া শিল্পীকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৮ জানুয়ারি এই নির্বাচন হওয়ার কথা। আদালতের এ সিদ্ধান্তের ফলে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনি কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সেক্রেটারি জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, আহসানুল করিম ও নাহিদ সুলতানা যুথি। আবেদনকারী শিল্পীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায়।
আদালতের সিদ্ধান্তের পর অরবিন্দু কুমার রায় বলেন, আদালত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দেয়নি। আদালত বলেছেন, ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া শিল্পীদের রুল প্রস্তুত হলে আদালত শুনবেন। এই রুলে আরও ৮৭ জন শিল্পীকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন আদালত।
গত সপ্তাহে কোনো নোটিশ ছাড়াই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৬ সদস্যকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া কেন অবৈধ নয়- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
পরে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে সম্পূরক আবেদন করা হয়। খোরশেদ আলম খসরুসহ ১৬ জন শিল্পী নির্বাচনের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হাইকোর্টে রিট করে।
ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মামুনুর রশিদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা সওদাগর-জায়েদ খানের নেতৃত্বে একটি প্যানেল ও ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুনের নেতৃত্বে আরেকটি প্যানেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এমএ/টিটি